সর্বশেষঃ স্কলারশিপে থাইল্যান্ডের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরছেন তরুন গবেষক রিপন
সর্বশেষঃ জাপান-বিশ্বব্যাংকের স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে
সর্বশেষঃ মোজার দুর্গন্ধ থেকে বাচাঁর ৬টি উপায়
সর্বশেষঃ ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো, ভাঙতে চলেছে যশ-নুসরাতের সংসার
দেশের পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতার পর আরো উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য থাইল্যান্ডের Asian Institute of Technology (AIT) তে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন জনাব মোকাদ্দেস আলী রিপন । QS ranking অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি থাইল্যান্ডে ১ম এবং এশিয়ায় ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। পাশাপশি গ্লোবাল MBA তে এর অবস্থান শীর্ষ ১৫০ এর মধ্যে।
Asian Development Bank-Japan Scholarship Program (ADB-JSP) প্রোগ্রামের আওতায় ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ নিয়ে Agribusinesses Management এর উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পান তিনি। বাংলাদেশ থেকে মাত্র দুইজন এই স্কলারশিপ পেয়েছেন২০২৩ সালে, তিনি তার মধ্যে একজন। তার মাস্টার্সের থিসিসের বিষয়বস্তু ছিলো “Sustainability Challenges and Innovative Management Practices of Livestock Farmers in Northern Bangladesh”। গত ২৩ মে কৃতিত্বের সহিত তিনি তার মাস্টার্স গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
'শেখার জন্য যাচ্ছি, সেবার জন্য ফিরে আসতে চাই' এই সংকল্প নিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে দেশত্যাগ করেন। পড়াশোনার জন্য দুই বছর সেখানে একাকী অবস্থান করে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে তিনি চালিয়ে গিয়েছেন তার পড়াশোনা ও গবেষনা। পাশাপাশি তার বিনয়ী ও আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে AIT এর বাংলাদেশী কমিউনিটির হয়ে উঠেছেন একজন আবিচ্ছেদ্য অংশ। কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি অনুষ্ঠানে আনন্দের রসদ সঞ্চার করেছে। তাইতো কমিউনিটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান আয়োজন করে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় সকলের মধ্যেই এক আন্তিরকতার অভিব্যক্তি ফুটে উঠে।
জনাব রিপন যে সেখানে শুধু পড়াশোনাতেই বুদ হয়েছিলেন তা নয়। তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে তার দৈনন্দিন জীবনের ভ্লগ শেয়ারের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের স্থানীয় চিত্র তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তার আত্মপরিশোধনমূলক কয়েকটি ভিডিও ফেসবুকে কয়েক হাজারেরও বেশি ভিউ হয়েছে। পাশাপাশি তার খাবারের ভিডিও গুলো তার ফলোয়ারদের মাঝে বেশ প্রশংসিত।
জনাব রিপন বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্রানীসম্পদের ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়নের উপর যে গবেষণা করেছেন, আশাকরি তা ঐ অঞ্চলের পশুসম্পদ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সারা দেশে এর আশানুরূপ প্রভাব রাখবে। পাশাপাশি তিনি উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা কীভাবে প্রতিকূল অবস্থাতেও লড়াই করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবে — তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার মতো সৃজনশীল ও কর্মঠ একজন মানুষ দেশের সেবা করার জন্য দেশে ফিরে আসার পদক্ষেপকে আমরা প্রশংসা ও সাধুবাদ জানাতে পারি। তিনি উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য একজন রোল মডেল। তিনি আমাদের গর্ব।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP