সেপ্টেমবরের মধ্যে কমানো হবে হার্টের রিংয়ের দাম, অপারেশনে সাশ্রয়

August 13, 2025
By Sub Editor

হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা উপকরণ করোনারি স্টেন্টের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো.আকতার হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

ড. মো.আকতার হোসেন বলেন, চলতি আগস্ট মাস অথবা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৩৩টি কোম্পানির জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রীর দাম কমানো হবে। 

এর আগে রবিবার (৩ আগস্ট) স্টেন্টের দাম কমিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তিন কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম কমিয়ে নতুন করে নির্ধারণ করা হয়। তবে একটি স্টেন্টের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্টেন্ট আমদানি প্রতিষ্ঠানভেদে খুচরা মূল্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে স্টেন্টভেদে দাম কমানো হয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ কমেছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো.আকতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিন কোম্পানির ১০ ধরনের হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে। এসব রিংয়ের মূল্যে অনেক বেশি ছিল। পর্যায়ক্রমে বাকি কোম্পানিগুলোর রিংয়ের দাম কমাবে মূল্য নির্ধারণ কমিটি। নতুন মূল্য কার্যকর আগামী সপ্তাহে।

মেডট্রনিক, অ্যাবোট ভাসকুলার ও বস্টন সায়েন্টিফিকের হার্টের রিংয়ের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, জীবনদায়ী চিকিৎসার সামগ্রীর দাম নির্ধারণে একটি মূল্যনীতি থাকা উচিত। তাহলে কেউ চাইলেই মূল্য বাড়ানো বা কমানো সম্ভব হবে না। তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে রিং বিক্রি করবে তারা।

স্টেন্ট বা রিং পরানোই বাংলাদেশে হার্টের চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। কারো হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনে ব্লক বা বাধার সৃষ্টি হলে ডাক্তার তাকে এক বা একাধিক রিং পরানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হার্টে রিং পরানোর পদ্ধতিকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে, একটি সরু ক্যাথেটার ব্যবহার করে ধমনীতে একটি ছোট, জাল আকৃতির নল (স্টেন্ট) স্থাপন করা হয়। এটি রক্তনালীকে খোলা রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডে রক্ত​সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

আর রিং বাংলাদেশে আসে দেশের বাইরে থেকে। সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকা থেকে এগুলো আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জার্মানি, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড থেকে রিং আসে বাংলাদেশে। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকেও রিং আমদানি করা হয়।

Share:

Related News

Get Every Newsletter

We are not gonna make spamming

BACK TO TOP