শীতের সকালে কম্বলের উষ্ণতা থেকে ঘুম ভাঙবেন যেভাবে

By Sub Editor

হিম ভোরে ঘুম ঘুম ওম ছেড়ে কারই–বা উঠতে ভালো লাগে বলুন! শীতের সকালে আলস্যের সঙ্গে যুক্ত হয় বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব। তাই ঘুম ভেঙে উঠে যাওয়ার পরও জড়তা যেন ছাড়তেই চায় না। কিন্তু শীতে জড়সড় হয়ে বসে থাকলে কি আর জীবন চলবে? ঘুম থেকে উঠতে হবে, কাজ করতে হবে। তবেই না ঘুরবে জীবনের চাকা।

ওঠার আয়োজনে

ঘুম ভাঙার জন্য অ্যালার্মের প্রয়োজন হলে অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন। মুঠোফোনের অ্যালার্ম ‘স্নুজ’ করে করে ওঠার সময়টাকে পিছিয়ে দেবেন না। আর অ্যালার্মের উৎসটি হাতের কাছেও রাখবেন না। বরং একটু দূরে রাখুন, যাতে আপনাকে উঠে গিয়ে অ্যালার্ম বন্ধ করতে হয়। আয়েশি ধাঁচের মৃদু অ্যালার্ম কিন্তু ঘুম ভাঙানোর জন্য উপযুক্ত নয়।

আলোরে বাসিয়া ভালো

ঘুম ভাঙলে পর্দা সরিয়ে দিন। সম্ভব হলে নিজেও যান ঘরের বাইরে। হাঁটাহাঁটি বা অন্য কোনো ব্যায়াম করতে পারেন। নিদেনপক্ষে বারান্দায় আলোর পরশ নিন।

 
 

হাতের কাছেই শীতের অনুষঙ্গ রাখুন

বাইরে যাওয়ার কথাটুকু পড়েই হয়তো ভাবছেন, মাথা খারাপ নাকি! শীতে যে জমে যাওয়ার দশা! তবে শীতের রাতের জন্য যেমন আয়োজন থাকে লেপ-কম্বল, তেমনি শীতের সকালের প্রয়োজনীয় শীতপোশাকও রাখুন হাতের কাছে। আপনি সকালে বাইরে না গেলেও ঘুমানোর আগেই এসব গুছিয়ে রাখুন, যাতে ঘরেও শীতের পাল্লায় পড়তে না হয়। মেঝেতে পা ফেলার আগে বিছানার কাছে রাখা পাপোশে পা ফেলুন। আগে থেকেই রেখে দিতে পারেন চপ্পল জোড়াও, তাহলে ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটতে হবে না।

বিছানা গুছিয়ে ফেলুন

বিছানা গুছিয়ে নিন ঝটপট। এতে সকালেই কিছু একটা করার কৃতিত্ব অনুভব করতে পারেন। আর পেশির জড়তা তো কাটবেই।

 

পানি ও হালকা খাবার

পানিশূন্য অবস্থায় আপনি নিষ্প্রাণ অনুভব করবেন। তাই দিনের শুরুতে সামান্য পানি খেয়ে নিন। সামান্য কিছু হালকা খাবারও খেয়ে নিতে পারেন, যা ওই মুহূর্তে তৈরি করতে হবে না।

ঠান্ডা পানিতে সতেজ গোসল

আরেহ্‌! আঁতকে উঠলেন নাকি! ঠান্ডা পানিতেই গোসল সেরে নিতে বলছি না। মিনিটখানেক ঠান্ডা পানির প্রবাহের পর কুসুম গরম পানি দিয়েই গোসল করুন। কিংবা কুসুম গরম পানিতে গোসল শুরু করে শেষে খানিকটা ঠান্ডা পানি ঢেলে নিন। বিশ্বাস করুন, সজীবতা আসবে। গোসল না করলেও অন্তত মুখে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে নিন।

স্ট্রেচিং করুন

ব্যায়াম করলে শুরুতে ‘ওয়ার্মআপ’ তো করবেনই। তবে শীতের সকালে অন্য ব্যায়াম না করলেও হালকা স্ট্রেচিং করে পেশিগুলো সচল করে নিন।

 

পছন্দের শব্দ

পছন্দের অডিও ক্লিপ চালিয়ে দিন সকালেই। একটু জোরে শব্দ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন, অন্য কারও যাতে অসুবিধা না হয়।

সুঘ্রাণ কাজে লাগান

পছন্দসই ঘ্রাণে দিন শুরু করুন। হাতের কাছে এসেনশিয়াল অয়েল আর টিস্যু পেপার রাখতে পারেন। সকালে টিস্যু পেপারে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল নিলে ঘ্রাণে আপনি সতেজ হয়ে উঠবেন। চা-কফির সুঘ্রাণ অনেকের জন্যই সজীবতার উৎস। কিন্তু খালি পেটে চা-কফি খাবেন না যেন। এতে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে।

Share:

Related News

Get Every Newsletter

We are not gonna make spamming

BACK TO TOP