প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ডার্ক সাইড নিয়ে কেউ কথা বলে না।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মূলত ধনীদের জন্য। যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত তাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ার দরকার নাই। অথচ প্রাইভেট ভার্সিটির বেশিরভাগ স্টুডেন্ট হচ্ছে মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির।
প্রাইভেট ভার্সিটি একটা স্ক্যাম।
★অনার্স+মাস্টার্স+চাকরির জন্য ১-২ বছর পড়াশোনা। ৭ বছর ইনভেস্ট + ১০ লাখ টাকা ইনভেস্ট, ৭ বছরের শ্রম ইনভেস্ট,৭ বছর মেধা ইনভেস্ট। এত কিছুর পর অনেক দৌড় ঝাপ করে যে চাকরি ম্যানেজ হবে ওটার স্যালারি ২৫ হাজার। অথবা ধরে নিলাম ৩০ হাজার। অথবা আরো বাড়িয়ে ধরে নিলাম ৪০ হাজার টাকা।
★ ৪০ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার পর কোন একদিন হূট করে যদি আপনার থেকে ১০ হাজার টাকা চাই তাহলে কি আপনি দিতে পারবেন? আপনি পারবেন না এবং বেতন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। তারপর পুরো মাসে কোনদিকে কোনদিকে সেভিংস করবেন সেটার হিসেব কষা শুরু।
★৪০ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা আপনি প্রতি সেমিস্টারে সেমিস্টার ফি দিতেন ভার্সিটিকে। প্রতি ৬ মাসে আপনি কি ৪০ হাজার টাকা জমাতে পারবেন?
★এত লম্বা সময়,মেধা, টাকা,শ্রম সবকিছু ইনভেস্ট করার পর গাধার খাটুনি খেটে ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি আপনার কাছে ভালো অপশান মনে হয়? মানে সিরিয়াসলি?
★প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে কেউ কি ভালো ক্যারিয়ার করে না? হ্যাঁ, করে। তবে খুব কম। আপনি প্রাইভেট থেকে বের হয় ৮০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পেলেও আমি বলবো আপনি ব্যার্থ হয়েছেন। আপনার কাছে সফলতা বাট আমার মনে হয় আপনি আরো ভালো অবস্থানে যেতে পারতেন যদি আপনার ৭ বছর, মেধা, পরিশ্রম এবিং টাকা অন্য জায়গায় ব্যায় করতেন।
কোথায় ব্যয় করতে হবে সেটা নেক্সট পোস্টে আসবে।
আপনি অনার্স মাস্টার্স করেন অন্যের দেখাদেখি। অমুক,তমুক করসে তাই আমাকেও করতে হবে। বেশিভাগ মানুষের ক্ষেত্রে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অর্নাস মাস্টার্স করা গলার ফাঁস হয়ে যায়। শুধু প্রাইভেট না, পাবলিকে অনার্স মাস্টার্স করেও অনেক অনেক স্টুডেন্ট কষ্ট করে।
অনার্স মাস্টার্স করার পর নিজেকে মানুষ এমন অবস্থায় আবিষ্কার করে এর পর নতুন করে কিছু শুরু করার মত সময় এবং সাধ্য থাকে না।
★ প্রাইভেটে পড়ে অনেকে ভালো দিকে যায়। ভালো ক্যারিয়ার গড়ে। কিন্তু সেটা কত জন? আপনার যদি মনে হয় আপনি অন্যতম। যদি সেই কনফিডেন্স থাকে তাহলে ভর্তি হন। না হয় এড়িয়ে যান।
সুত্রঃ জার্সান এ টু জেড হতে সংগ্রহীত