আন্তর্জাতিক সর্বশেষ

বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছে প্রিগোজিন : রাশিয়ার তদন্ত কমিটি

২৩ আগস্ট রাশিয়ায় ১০ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান। যাত্রীদের সবাই নিহত হন। সেই বিমানে যাত্রীর তালিকায় ছিল রুশ ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নাম। এবার সেদিনের নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করে সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ডিএনএ পরীক্ষা করে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, সেদিনের সেই বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে প্রিগোঝিন ছিলেন এবং তিনি নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

রুশ তদন্ত কমিটি বলছে, ফ্লাইটের যাত্রীর তালিকার সঙ্গে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট মিলিয়ে ১০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ভাগনারের আরও কয়েকজন যোদ্ধা ছিলেন। যাঁরা ইউক্রেন, সিরিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশে সামরিক অভিযানে ছিলেন।

মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত হওয়া জেট বিমানের আরোহীদের মধ্যে সাতজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিলেন।

ভাগনার প্রধান প্রিগোঝিন পুতিনের শেফ ও বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ক্রেমলিন শাসকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগসূত্র ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোঝিনের।

গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোঝিন। সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন।

পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন বলে সমঝোতা করেন প্রিগোঝিন।

বিদ্রোহের পর ভাগনার সেনারা বেলারুশে চলে যান। তবে ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিনের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যায়। তিনি বেলারুশে আছেন বলে খবর ছড়ায়। এমনকি তাঁর রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে দেখা করার খবরও জানা যায়। কিন্তু তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

৬২ বছর বয়সী প্রিগোঝিন ঠিক দুই মাস আগে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে একটি অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সঙ্গীদের নিয়ে পরে তাঁর মস্কো যাত্রা ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল যে—তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *