আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় ভূকম্পনটি অনুভূত হয়। তবে, এতে অন্তত চারজন আহত ও কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য জাকার্তা পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে, এর কেন্দ্রস্থল গারুত রিজেন্সির ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রাজধানী জাকার্তা এবং নিকটবর্তী প্রদেশ ব্যানটেনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল জাভা, যোগিয়াকার্তা এবং পূর্ব জাভা প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে সেখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাধারণত ভূকম্পন ৫ সেকেন্ড স্থায়ী হলেও, এটি ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

রাজধানী জাকার্তা এবং নিকটবর্তী প্রদেশ ব্যানটেনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল জাভা, যোগিয়াকার্তা এবং পূর্ব জাভা প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে সেখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাধারণত ভূকম্পন ৫ সেকেন্ড স্থায়ী হলেও, এটি ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, যে ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল বানজার শহরের ১০২ কিলোমিটার দক্ষিণে ৬৮.৩ গভীরে।  ভূমিকম্পের পরে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করেনি আবহাওয়া সংস্থা।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারে অবস্থানের কারণে বিশাল দ্বীপপুঞ্জের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।

তীব্র ভূমিকম্পের একটি চাপ যেখানে টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষ হয় যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ মারা যায়। গৃহহীন হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ।

আর ২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *