৩৮ রানে তিন টপ অর্ডারের বিদায়ের পর পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল সবার। পাকিস্তানের স্কোর ২০০ হবে কি না তা নিয়েই সন্দিহান ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই মোহাম্মদ-শাকিলের ১২০ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান সক্ষম করতে হয় পাকিস্তান।
২৮৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রানেই অল আউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। যার ফলে ফলে বিশ্বকাপ যাত্রার শুরুতেই ৮১ রানের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনেই করতে থাকে ডাচরা। কিন্তু দলীয় ২৮ রানে প্রথম রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। হাসান আলি ম্যাক্স ও’ডাউডকে ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
এরপর কলিন অ্যাকারম্যানও বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। কলিন অ্যাকারম্যানকে ফেনার ইফতিখার আহমেদ।
এরপর দলের হাল ধরেন বিক্রমজিৎ সিং ও বাস ডি লিডি। এই দুই ব্যাটার মিলে ৭৬ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু দলীয় ১২০ রানে বিক্রমজিৎ সিং আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি।
শাদাবের বলে আউট হওয়া আগে তিনি তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৬৭ বলে ৫২ রান করে ফিরে যান তিনি।
বিক্রমজিৎ সিংয়ের পথ অনুসরন করে তেজা নিদামানুরু ও স্কট এডুয়ার্ডসও ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। দলীয় ১৩৩ রানে দুই জনই ফিরে যান। তেজা নিদামানুরু ৯ বলে ৫ ও স্কট এডুয়ার্ডস ২ বলে শুন্য রানে ফিরে যান।
দলের এমন বিপর্যয়ে সাকিব জুলফিকারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন বাস ডি লিডি। যিনি এই ম্যাচে তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৫০ বলে ৫০ করেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে ৪টা চারের মার ও একটা ছয়।
কিন্তু দলীয় ১৫৮ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হয়ে ফিরে যান জুলফিকার সাকিব। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১৮ বলে ১০ রান।
তার বিদায়ের পর বাস ডি লিডিও বেশি সময় দলের হাল ধরে রাখতে পারেননি। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে ৬৮ বলে ৬৭ রান করে তিনিও ফিরে যান। দলীয় ১৬৪ রানেই সাত উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
দলীয় ১৭৬ রানে নিজেদের অষ্টম উইকেট হারায় ডাচরা। রান আউট হয়ে ৭বলে ৪ রান করে ফিরে যান রোয়েলফ ভ্যান ডার মেরওয়ে।
দলীয় ১৮৪ রানে হাসান আলির বলে ২ বলে ১ রান করে ফিরে যান আরিয়ান দত্ত। এরপর পল ভ্যান মিকেরেনকে সঙ্গে নিয়ে লড়তে থাকেন লোগান ভ্যান বেক।
কিন্তু ভ্যান মিকেরেন হারিস রউফের বলে বোল্ড হলে ২০৫ রানেই থামে নেদারল্যান্ডের ইনিংস। যার ফলে ৮১ রানের বড় জয় পেল পাকিস্তান
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ওপেনার ফখর জামানকে হারিয়ে বসে পাকিস্তান। পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন লোগান ফন ভিক। এরপর অধিনায়ক বাবর আজম নেমে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই বিদায় নেন। কলিন অ্যাকারম্যানের বলে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দলীয় ৩৪ রানে। বাবরের বিদায়ের ৪ রান পর বিদায় নেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। ১৯ বলে ১৫ রান করে ভ্যান ম্যাকরেনের বলে আরিয়ান দত্ত এর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তখন পাকিস্তানের দলীয় রান ৩৮। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌদ শাকিল।
দুই ব্যাটার প্রথম ম্যাচেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে দলকে ভালো স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা সৌদ শাকিল ৩২ বলেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। যেখানে রয়েছে ৭টি চারের মার ও একটি ছয়।
প্রথম বিশ্বকাপ খেলা রিজওয়ানও তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরি করতে তিনি বল খরচ করেন ৫৮টি। যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চারের মার।
এই দুই ব্যাটর ১১৪ বলে গড়েন ১২০ রানের জুটি। কিন্তু দলীয় ১৫৮ রানে শাকিল আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৫২ বলে ৬৮ রান করে ফিরে যান তিনি।
শাকিলের আ্উটের পর বিশ সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি মোহাস্সদ রিজওয়ানও। ৬৮ বলে ৭৫ রানে করে তিনি ফিরে যান।
রিজওয়ানের আউটের পর দলীয় ১৮৮ রানে ফিরে যান ইফতিখার আহমেদও। ১১ বলে ৯ করেন তিনি।