বিদ্যালয় বার্তা সর্বশেষ

নতুন শিক্ষাক্রম সংশোধন ও পরীক্ষা পদ্ধতির দাবিতে মানববন্ধন অভিভাবকদের

নতুন শিক্ষাক্রম সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা চিহ্নভিত্তিক মূল্যায়ন বাদ দিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল রাখাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরাম’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি করা হয়। এতে প্রায় দেড় শতাধিক অভিভাবক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

তাদের প্রধান তিনটি দাবি হলো- পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে, ব্যবহারিক কাজ ক্লাসেই শেষ করতে হবে এবং এর খরচ স্কুলকে বহন করতে হবে। এছাড়া নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হাতে কোনো নম্বর বা মূল্যায়নের সুযোগ রাখা যাবে না।

কর্মসূচিতে ‘পরীক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে’, ‘গুগল থেকে নয়, বই থেকে পড়তে চাই’, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের ব্যবহারিক কাজের অতিরিক্ত ব্যয়ভার সরকারকে নিতে হবে’ -লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকরাও নতুন শিক্ষাক্রম ঠিকমতো বোঝেন না। শিক্ষকরা ইন্টারনেট থেকে সব লিখে আনতে বলেন। তারা শিক্ষার্থীদের এমন সব কাজ দিচ্ছেন, যাতে রাতজেগে কাজ করতে হচ্ছে। সেসব কাজ করতে অনেক জিনিসপত্র কেনা লাগছে। যাতে অভিভাবকদের খরচ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

তারা আরও বলেন, পরীক্ষাহীন লেখাপড়ায় বইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। শিক্ষার্থীরা এখন মোবাইল, ট্যাব নিয়ে দিন-রাত ব্যস্ত থাকছে। যেখানে সারাবিশ্ব ডিভাইস থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে, সেখানে আমরা উৎসাহিত করছি এগুলো ব্যবহারের জন্য।

অভিবাবকরা আরও বলেন, নম্বরের ভিত্তিতে মেধা যাচাই আমাদের এ অঞ্চলের দেশগুলোতে দীর্ঘদিন প্রচলিত। সেখানে আমরা ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত দিয়ে মেধা যাচাই করছি। আমরা নিশ্চয়ই বোকা বা বধির নই যে আমাদের মূল্যায়নে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। পৃথিবীতে কোনো দেশের সুস্থ মানসিকতার কাউকে এ পদ্ধতি দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। নতুন শিক্ষাক্রমে বিকৃত শিক্ষাব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক ফোরামের অলোক রায়, আমিরুল ইসলাম, তাহেরা আক্তার রূপা, মারজান আক্তার, হাসনাত কবীর প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *