আন্তর্জাতিক সর্বশেষ

ইউক্রেনের হামলায় নিহত কমান্ডারের জীবিত থাকার প্রমাণ দিল রাশিয়া

গত সপ্তাহে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার এক শীর্ষ কমান্ডারসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। কিন্তু কিয়েভ যে কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে তিনি একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামনে এসেছে।

কৃষ্ণসাগরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার নৌবাহিনীর কার্যালয়ে গত সপ্তাহে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। ওই হামলায় অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভ। তিনি কৃষ্ণসাগরে রাশিয়া ব্ল্যাক সি ফ্লিটের কমান্ডার এবং রাশিয়ার একজন অন্যতম শীর্ষ নৌ-কর্মকর্তা।

মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। তবে এসব হামলা মোকাবিলায় মস্কোও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এটি দুপক্ষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ওই অঞ্চল থেকেই গত ১৯ মাস ধরেই ইউক্রেনের ওপর বিভিন্ন সময়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় মস্কো। হামলায় আরও ১০৫ জন দখলদার আহত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। হামলার পর ওই সদর দপ্তর পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কিয়েভ।

তবে ওই কমান্ডারের মৃত্যু নিয়ে ইউক্রেনের দাবির পক্ষে-বিপক্ষে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে ইউক্রেনের এমন দাবির পরপরই এমন একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভকে একটি বৈঠকে অংশ নিতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানেই দেখা গেছে যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু এবং শীর্ষ অ্যাডমিরাল ও সেনাপ্রধানদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন সোকোলোভ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই ওই ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই ভিডিওতে বেশ কয়েকবার সোকোলোভকে দেখা গেলেও তাকে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে ব্ল্যাক সি ফ্লিটের প্রধান কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এদিকে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া ওই ভিডিওতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের ১৭ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে এবং প্রায় তিন হাজার অস্ত্র ও সামরিক যান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *