অভিনয় জীবনের প্রতিটি ধাপেই চমক দেখিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। নাটক, মডেলিং থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র—সবখানেই নিজেকে ভিন্নভাবে প্রমাণ করেছেন। শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার প্রতিভার ঝলক পৌঁছেছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পাওয়া কিংবা বলিউডে অভিষেক—সব মিলিয়ে বাঁধন আলোচনার শীর্ষে।
তবে তার ক্যারিয়ারের যাত্রা পথে সব অভিজ্ঞতাই সুখকর নয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী। কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা ‘তিক্ত’ বলে দাবি তার। এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, “আমার সৃজিতের সঙ্গে কলকাতায় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রচণ্ড খারাপ। ওই ইউনিটের সঙ্গে অভিজ্ঞতাও খুব খারাপ ছিল। তবে যারা আমাকে সাপোর্ট করেছেন, তারা হলেন চিত্রগ্রাহক, কেশবিন্যাসশিল্পী এবং রাহুল বোস। তাদের সাপোর্ট আমি সারা জীবন মনে রাখব।”
তবে বাঁধনের সঙ্গে সৃজিত বা তার ইউনিটের অন্য সদস্যরা কেমন ব্যবহার করেছেন, সে বিষয় বিস্তারিত জানাননি এই অভিনেত্রী।
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া সৃজিতের ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-তেই প্রথম ওপার বাংলার পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন বাঁধন। সিরিজটি বাণিজ্যিক সাফল্য না পেলেও ‘মুসকান জুবেরি’ চরিত্রে তার অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়। দর্শক-সমালোচক উভয়ের কাছেই প্রশংসা কুড়ালেও, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ছিল তার কাছে তিক্ত। এতদিন সেই অভিজ্ঞতা আড়ালে থাকলেও, বহুদিন পর খোলাখুলি জানালেন এই অভিনেত্রী।
অন্যদিকে, সৃজিত মুখার্জি বরাবরই পরিচিত তার ধারালো গল্প বলার কৌশল ও ব্যতিক্রমী চরিত্র নির্মাণের জন্য। তাই বাঁধন-সৃজিত সহযোগিতাকে অনেকেই ভেবেছিলেন সৃজনশীল মেলবন্ধন। কিন্তু পর্দার সাফল্যের আড়ালে যে তিক্ততা লুকানো ছিল, তা এবার সামনে এলো।
এরপর বাঁধনের ক্যারিয়ারে নানা পালক যুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে তিনি বলিউডে পা রাখেন বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘খুফিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে। টাবু ও আলি ফজলের মতো নামি অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করে নিজের জায়গা আরো দৃঢ় করেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP