সরকারী কর্মচারী বা চাকরীজীবিতদের জন্য চীনা স্কলারশিপের সুযোগ,৪৫ বছরের ব্যক্তিরাও করতে পারবে আবেদন

চীন প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে গড়ে ওঠা অনন্য একটি দেশ। দেশটি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছেও দারুণ জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশটির বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক গবেষণা সুবিধা এবং সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের সহজলভ্যতার কারণে সম্ভব হয়েছে। 

বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চীন সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা ধরনের আকর্ষণীয় স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। চীনের মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্সের অর্থায়নে তেমনই একটি স্কলারশিপ হচ্ছে মফকম স্কলারশিপ। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আবেদনের সময়সীমায় ভিন্নতা রয়েছে। 

এই স্কলারশিপের আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে চীনের ২৬টি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ অথবা ২ বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর এবং ৩ বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার। 

সুযোগ-সুবিধা—

*সম্পূর্ণ  টিউশন ফি প্রদান করবে;

*স্নাতকোত্তরের জন্য বছরে ৩৬ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৪ হাজার ৩১ টাকা) ভাতা প্রদান করবে;

*পিএইচডিতে ৪৮ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ লাখ ৬ হাজার ১৭৫ টাকা) ভাতা প্রদান করবে; 

*স্থানান্তর ভাতা হিসেবে এককালীন ৩ হাজার ইউয়ান প্রদান করবে; 

*বিনা মূল্যে ক্যাম্পাসে আবাসন সুবিধা প্রদান করবে;

*বই এবং ট্রেনিংসামগ্রীর ভাতা প্রদান করবে;

গবেষণা সহায়তা প্রদান করবে; 

*মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান করবে; 

*চীনে যাতায়াতের বিমান টিকিট প্রদান করবে (১ বছরের বেশি সময়ের কোর্স হলে, প্রতিবছর একবার ভ্রমণের জন্য যাতায়াতের বিমান টিকিট);

প্রসঙ্গত, প্রথম বছরের পর বাৎসরিক রিভিউ হয় এবং রিভিউ সন্তোষজনক হলে দ্বিতীয় বছরের জন্য স্কলারশিপ পান শিক্ষার্থীরা।

আবেদনের যোগ্যতা—

সরকারি কর্মচারী, রিসার্চ ফেলো এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ বছর কাজ করা এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা আবেদন করতে পারবেন।

*বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;

*বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে; 

*আইইএলটিএস স্কোর ৬ থাকতে হবে;

প্রয়োজনীয় নথিপত্র—

 

*পাসপোর্ট সাইজের ছবি;

*পাসপোর্টের কপি;

*আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত/অ্যাকাডেমিক সিভি;

*স্টেটমেন্ট, গবেষণা প্রস্তাবনা এবং ক্যারিয়ার ভাবনা;

*নোটারি কর্তৃক সত্যায়িত সব নম্বরপত্র ও সার্টিফিকেট;

*দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার ও প্রফেশনাল রিকমেন্ডেশন;

*ইংরেজি ভাষাদক্ষতার প্রমাণপত্র (আইইএলটিএস);

*ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট;

*বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র; 

*স্কলারশিপের জন্য আবেদনপত্র (পূরণ করা); 

আবেদন প্রক্রিয়া—

স্কলারশিপের জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। দূতাবাসের স্কলারশিপ থাকে নির্দিষ্ট এবং প্রতিযোগিতামূলক। 

কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু অনলাইনে আবেদন করলেই হয়, আবার কোথাও অনলাইনে আবেদনের সঙ্গে হার্ডকপিও পাঠাতে হয়। স্কলারশিপের আবেদনসংক্রান্ত সব বিষয় ওয়েবপেজে উল্লেখ থাকে। 

Share:

Related News

Get Every Newsletter

We are not gonna make spamming

BACK TO TOP