শিক্ষা শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়—এটি একটি মূল্যবোধ-ভিত্তিক জীবন গঠনের পথ। এই নীতিকে ধারণ করে ২০২৪ সালে লাইটহাউস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যাত্রা শুরু করে । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্কুলটির মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদেরকে একটি নিরাপদ, যত্নশীল এবং সহায়ক ইসলামিক পরিবেশের মধ্যে বিশ্বমানের একাডেমিক শিক্ষা প্রদান করা, যাতে তারা পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হিসেবে গড়ে ওঠে এবং অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজ,দেশ ও বিশ্ব ব্যবস্থায় নেতৃত্বের আসীনে অধিষ্ঠিতি হতে পারে।

ইসলামি শিক্ষা ও মূল্যবোধের পাশাপাশি ব্রিটিশ কারিকুলাম (পিয়ারসন এডেক্সেল) এর মিশিলে তৈরী এই স্কুলে শুধু ভালো রেজাল্টই নয়,এর সাথে শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক গঠন, নেতৃত্বগুণ, সৃজনশীলতা এবং নৈতিক বিকাশের প্রতিও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্কুলের শিক্ষকরা আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তাঁরা পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও মানসিক বিকাশে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং একাডেমিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের মান সর্বদা বজায় রাখা হয়।

লাইটহাউস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রয়েছে ঢাকার ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি শাখা। বর্তমানে স্কুলে ৭২০ জন শিক্ষার্থী, ১১৫ জন শিক্ষক ও ৩৪ জন স্টাফ রয়েছেন। দুটি ক্যাম্পাসেই রয়েছে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, স্মার্ট ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ল্যাব ও ইনডোর গেম ফ্যাসিলিটি । ইসলামী মূল্যবোধ বিকাশে রয়েছে ‘হিফজ প্রোগ্রাম’ এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা কমন রুম ও শ্রেণিকক্ষ এবং ক্যাফেটেরিয়া । শিক্ষার্থীদের শেখার পরিবেশকে আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

স্কুলটির ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সর্ম্পকে প্রিন্সিপাল সিফাত লায়লা বলেন, “শিক্ষা একটি অংশীদারিত্বমূলক প্রক্রিয়া, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সাথে মিলে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য চালু রয়েছে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। স্বচ্ছ নীতিমালা, আধুনিক পাঠ্যক্রম এবং একাডেমিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে লাইটহাউস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করতে কাজ করছে যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে ইসলামিক মূল্যবোধ ধারণ করে নেতৃত্ব প্রদানে বিশ্বব্যাপী অবদান রাখবে।