ব্যাভিচার ও মানহানির মামলায় নিজেদের নির্দোষ দাবি নাসির-তামিমার

July 16, 2025
By Sub Editor

অন্যের স্ত্রীকে প্ররোচিত করে নিয়ে যাওয়া, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মো. জাকির হোসাইনের আদালতে মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন তারা।

এ দিন মামলাটিতে নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তারা আদালতে হাজির হন। মামলার বাদী রাকিবও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিচারক নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ও ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পড়ে শোনান।

এ সময় বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা দোষী, না নির্দোষ?’ উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

আপনারা কি সাফাই সাক্ষ্য দেবেন– বিচারকের এমন প্রশ্নে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, আগামী ধার্য তারিখে তারা লিখিত ব্যাখ্যা, নিজেরা সাক্ষ্য দেবেন। পরে আদালত সাফাই সাক্ষীর জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু।

২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির।

তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু।

অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের রিভিশন অবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ মামলাটির বিচার চলবে বলে আদেশ দেন।

একইসঙ্গে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার মামলার দায় থেকে অব্যাহতি থাকবেন বলে আদেশ দেন। গত ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

Share:

Related News

Get Every Newsletter

We are not gonna make spamming

BACK TO TOP