সর্বশেষঃ যৌবন ধরে রাখার সেরা তিনটি ঘরোয়া বৈজ্ঞানিক কৌশল
সর্বশেষঃ ফোন নাম্বার ছাড়াই যেভাবে ব্যবহার করবেন হোয়াটসঅ্যাপ
সর্বশেষঃ বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
সর্বশেষঃ কুরলুস উসমান দেখে ইসলাম গ্রহণ স্কটল্যান্ডের নারীর
সর্বশেষঃ সুইমিংপুলে ডুবে মৃত্যু, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুবিন গার্গের ভাই
সর্বশেষঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা অনিশ্চয়তায় ভিন্ন দেশগুলোতে ঝুকছে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, রাতের আধারে ভোটসহ নানা অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। এবার আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আসলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক এই অভিযোগ করেছেন।
সাবেক এই ফুটবলার এবারের নির্বাচনে শুরু থেকে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু সরকারি হস্তক্ষেপ থাকায় সরে যান। সমালোচনা মাথায় নিয়েই গতকাল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। ২৩ জন এসেছেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে। এনএসসি কোটায় আসে আরও ২ জন। কিন্তু পরবর্তীতে একজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার কারণে এম ইসফাক আহসানকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় এনএসসি। রীতি অনুযায়ী সরকারের পক্ষের ব্যক্তি কিংবা শীর্ষ মহলের গ্রিন সিগন্যালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই দুই জন পরিচালক ঠিক করে দেন। পতিত স্বৈরাচার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট একজন কিভাবে এই সময়ে ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ।
আমিনুলেরও একই প্রশ্ন। তার দাবি, পছন্দের প্রার্থীকে বোর্ড পরিচালক করতে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে, ‘‘সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএসসি দ্বারা যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই একজন আওয়ামী লীগ এম.পি. প্রার্থীর মনোনয়ন একটি একক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়। মনে হচ্ছে কোনো একজনের প্রভাব এখানে কাজ করেছে, এবং বিষয়টি গণমাধ্যমে না আসা পর্যন্ত কেউ কথা বলেনি। আমার কাছে তথ্য আছে যে আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। এটি অত্যন্ত পীড়াদায়ক যে বোর্ড পরিচালকরা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন। এটি তাদের হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বিশাল সন্দেহ তৈরি করে। আমি মনে করি পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা এবং এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী বা ক্রীড়া সংগঠকরা স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবেন না।’’
ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ এবং বিসিবির নির্বাচনে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে আমিনুল কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘ক্রীড়া উপদেষ্টার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। বিসিবি সমগ্র বাংলাদেশের, এটি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা কার্যত বিসিবি-কে তার নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তিনি এমনকি বলেছেন যে, যেকোনো মূল্যে তিনি বুলবুল ভাইকে সভাপতি করবেন। এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটপ্রেমী মেনে নেবেন বলে আমি মনে করি না।’’
‘‘আমার প্রধান উদ্বেগ হলো সরকারি হস্তক্ষেপ এবং ক্রীড়া উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ। তার হস্তক্ষেপের প্রতিটি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলরদেরকে হুমকি দিয়েছেন, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। অনেক কাউন্সিলর আমাকে ফোন করে বলেছেন যে তাদের ডেকে নিয়ে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ - যোগ করেন তিনি।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP