সর্বশেষঃ আইফোন ১৭ হবে সবচেয়ে হালকা আইফোন
সর্বশেষঃ যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে মাস্টার্সের সুযোগ
সর্বশেষঃ ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক হবে সৌদি আরবে
সর্বশেষঃ ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে সরকারি পলিটেকনিকে
সর্বশেষঃ এখনও হাতে পায়নি সব বই, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অনীহা
সর্বশেষঃ ২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুষ্টিত হবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথ খোঁজার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সৌদি আরবে বৈঠক করতে পারেন তিনি।
এরপর অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে, তিনি কেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে উপসাগরীয় এই দেশটিকে বেছে নিলেন।
তিনি বৈঠকের নির্দিষ্ট তারিখ জানাননি, তবে এটি শিগগিরই হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমনকি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও, যাকে তার নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে এবিএস বলে ডাকা হয়, তিনিও এতে অংশ নিতে পারেন বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।
সৌদি আরব এক বিবৃতিতে ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ এবং দেশটিতে সম্ভাব্য শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরব তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।”
আসন্ন ট্রাম্প-পুতিন সম্মেলনের জন্য চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশ আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল সেলেম মনে করেন, “ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের জন্য সৌদি আরব একটি যৌক্তিক পছন্দ, কারণ এটি নিরপেক্ষ ভেন্যু।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের কঠোর অবস্থানের কারণে কোনও ইউরোপীয় দেশে এই বৈঠক আয়োজন সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক খাত্তার আবু দিয়াব বলেন, “ঐতিহ্যগতভাবে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে জেনেভার মতো স্থান বেছে নেওয়া হতো। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় এবার বিকল্প হিসেবে সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সৌদি আরব পুতিনের সঙ্গে সফলভাবে পারস্পরিক স্বার্থ ও আস্থার ভিত গড়ে তুলেছে এবং দেশটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য নয়, যা পুতিনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে পুতিনের সেখানে গেলে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই।
২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবে গেলে পুতিনের গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP