সর্বশেষঃ যৌবন ধরে রাখার সেরা তিনটি ঘরোয়া বৈজ্ঞানিক কৌশল
সর্বশেষঃ ফোন নাম্বার ছাড়াই যেভাবে ব্যবহার করবেন হোয়াটসঅ্যাপ
সর্বশেষঃ বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
সর্বশেষঃ কুরলুস উসমান দেখে ইসলাম গ্রহণ স্কটল্যান্ডের নারীর
সর্বশেষঃ সুইমিংপুলে ডুবে মৃত্যু, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুবিন গার্গের ভাই
সর্বশেষঃ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা অনিশ্চয়তায় ভিন্ন দেশগুলোতে ঝুকছে শিক্ষার্থীরা
সিঙ্গাপুর থেকে সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মরদেহ আসামে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয় শিল্পীর মরদেহ। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জুবিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। এসময় গায়কের স্ত্রী গরিমা গার্গ স্বামীর কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর এনডিটিভির।
বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার একটিতে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ ঘিরে ধরেছে জুবিনের কফিন। কফিনের ওপরে মাথা রেখে কাঁদছেন তার স্ত্রী গরিমা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জবিন গার্গের মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে একটি সাদা রঙের অ্যাম্বুলেন্স। অসংখ্য মানুষ নেমে এসেছেন রাস্তায়।
কিং অব হামিং’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। আসামের অসংখ্য ভক্ত বিমানবন্দরে গিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্গারিটা দিল্লির আইহিআই বিমানবন্দরে শিল্পীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
আসাম সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আসাম সরকার গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, শ্রী জুবিন গার্গ একজন অসামান্য শিল্পী, সাংস্কৃতিক আইকন, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের নায়ক। তার মরদেহ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অর্জুন ভগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে (সরুসজাই স্টেডিয়াম) রাখা হবে। বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগী এবং ভক্তদের অনুরোধ করা হচ্ছে, সম্মানজনকভাবে আসামের এই প্রিয় সন্তানের শেষ যাত্রাকে স্মরণীয় করে তুলতে সহযোগিতা করুন।”
নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুর যান জুবিন গার্গ। এ উৎসবের একজন প্রতিনিধি এনডিটিভি-কে বলেন, “স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়, জুবিন গার্গ শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তারপর দ্রুত তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল আড়াইটা নাগাদ জুবিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।”
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন।
২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP