ছেলের নামে বিতর্কিত মন্তব্য, সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ অপূর্ব

August 09, 2025
By Sub Editor

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে ছেলের সঙ্গে একটি আবেগঘন মুহূর্ত স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সেই পোস্ট হয়ে ওঠে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। নেতিবাচক মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করেছেন অপূর্ব।
অপূর্ব জানান, ইতোমধ্যেই তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

 

৫ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হয় একটি ভিডিও। দীর্ঘ সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর দেশে ফিরে অপূর্ব সরাসরি যান ছেলে আয়াশের ঘরে। ঘুম থেকে উঠে বাবাকে দেখে অবাক হয়ে যায় আয়াশ! আনন্দে চোখ ভিজে ওঠে তার। দুই মিনিটের এই ভিডিও অসংখ্য মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেলেও, কিছু ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন— আয়াশ নাকি মা-বাবার আদর থেকে বঞ্চিত, অপূর্ব  ছেলের প্রতি উদাসীন।
এসব মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে অপূর্ব লেখেন, “কিছু মানুষের সত্য-মিথ্যার বোধ নেই, ন্যূনতম সম্মানবোধও নেই।

সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা নিয়েও চলে নোংরা বিচার ও আজেবাজে কথাবার্তা— এটা শুধু লজ্জাজনক নয়, চরম অমানবিক।”
তিনি আরও লিখেছেন, “যাদের পরিবার ও সমাজ তাদের ভেতর মূল্যবোধ ও মানবিকতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ, তাদের জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই। প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে সন্তান জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ। তার প্রতিটি হাসি, কান্না ও অর্জন পিতামাতার হৃদয় উজ্জ্বল করে তোলে। অন্যকে অধম ভাবার অসুস্থতা থেকে দ্রুত সেরে উঠুন।”

অপূর্ব সতর্ক করে বলেন, “আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া ভুল মন্তব্যের আগে ভাবুন। সত্য না জানলে নীরব থাকুন। কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়।”

 

 

অপূর্বর অভিযোগ— কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ও বানানো গল্প ছড়িয়ে ভিউ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা তার সন্তান ও পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

অপূর্ব সতর্ক করে বলেন, “আমার বা অন্য কারো সন্তান নিয়ে মনগড়া ভুল মন্তব্যের আগে ভাবুন। সত্য না জানলে নীরব থাকুন। কারো সন্তানের জীবন আপনার কনটেন্ট তৈরির ‘আইটেম’ নয়।”

 

 

অপূর্বর অভিযোগ— কিছু ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ও বানানো গল্প ছড়িয়ে ভিউ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, যা তার সন্তান ও পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

 

 

এ বিষয়ে অপূর্বর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতিও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “কিছু মানুষ আমার ছেলেকে একা বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি খুবই মর্মাহত। আয়াশ আমার কাছেই থাকে, সবসময় ভালোবাসা ও যত্নে ঘেরা। ওর সব চাহিদা পূরণ করা হয়। যখন ইচ্ছা করে বা সপ্তাহের শেষে বাবার কাছে যায়। আমরা সবসময় ওর সুখকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।”

Share:

Related News

Get Every Newsletter

We are not gonna make spamming

BACK TO TOP