গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসন নিহতের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন করে আরও ১৭ জনকে ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে যাদের মধ্যে ছয়জনই ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী সেখানে অনাহারে এখন পর্যন্ত ৩৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজা শহরে নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার সময় শাতি শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করেছে।
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রযাত্রা দেখে ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। যদিও তাদের যাওয়ার জন্য কোনো নিরাপদ স্থান অবশিষ্ট নেই।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। সেখানে দখলদার বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৫৫৭ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৬০ জন।
এদিকে চলতি মাসের শেষে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রেভো দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম। একইসঙ্গে ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে অধিকৃত অঞ্চলের বসতি থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারি ক্রয়-বিক্রয় নীতির পুনর্মূল্যায়ন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে বিশেষ করে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার আলোকেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।এর আগে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ফ্রান্সও ইউএনজিএ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। এরপর একে একে আরও কয়েকটি দেশ একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে, যদিও কিছু দেশ শর্তসাপেক্ষ স্বীকৃতির কথা বলেছে।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP