খেলাধুলা সর্বশেষ

১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের নৈপুণ্যে জয় পেল বার্সা

এক দল গোল করে এগিয়ে গেলে আবার অন্য দল গোল করে চলে আসে সমতায়। এমনই এক লুকোচুরি খেলা হচ্ছিলো যেন এস্টাডিও ডি লা সেরামিকায়। মাঠে উপস্থিত প্রায় ২২ হাজার ফুটবল সমর্থক যেন তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেলাটি উপভোগ করছিলো। গোল বন্যার এই ম্যাচে গোল হলো মোট ৭টি।

৭ গোলের এই রোমাঞ্চে শেষ পর্যন্ত জয় পেলো বার্সেলোনাই। ভিয়ারিয়ালের মাঠে গিয়ে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ঘরে ফিরলো জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।

তবে ম্যাচের শুরুতে স্পষ্ট আধিপত্য ছিল বার্সেলোনারই। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলো বার্সা। কিন্তু প্রথমার্ধেই গোল দুটি গোল পরিশোধ করে ম্যাচ জমিয়ে দেয় ভিয়ারিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ভিয়ারিয়াল। অ্যালেক্স বায়েনা গোল করে ভিয়ারিয়ালকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।

তবে ফেরান তোরেস এবং রবার্ট লেওয়ানডস্কির গোলে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। এই জয়ে ৩ ম্যাচে জাভির দলের অর্জন ৭ পয়েন্ট। একটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা। অন্যদিকে তিন ম্যাচের সবগুলো জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ

ম্যাচে গোল না পেলেও এই জয়ে বড় অবদান ১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের। শেষ যে গোলটি লেওয়ানডস্কি করেছেন, সেখানে পুরোপুরি অবদান ইয়ামালের। গোলটি একটুর জন্যই তার নামে লেখা হয়নি। ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ডান দিক দিয়ে ভিয়ারিয়ালের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে নেওয়া নিচু শটটি পোস্টে লেগে চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো লেভার কাছে। পোলিশ স্ট্রাইকারকে শুধু বলে পা ছোঁয়াতে হয়েছে।

বার্সার প্রথম গোলেও অবদান ছিল ইয়ামালের। ১২ মিনিটে তার ক্রসেই হেড করে গোল করেন গাবি। এই ক্রসটা ইয়ামালকে বলার মতো এক রেকর্ডও এনে দিয়েছে। একুশ শতকে লা লিগায় ইয়ামালের চেয়ে কম বয়সে কোনো খেলোয়াড় অ্যাসিস্ট করতে পারেননি। ১৬ বছর ৪৫ দিন বয়সী ইয়ামাল পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ আনসু ফাতির রেকর্ড। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ১৬ বছর ৩১৮ দিন বয়সে সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়েছিলেন ফাতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *