বিশ্ব বিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

নর্দান ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ গঠন, ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক তৈরির পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীরও বিকাশ ঘটাতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য যুগোপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে হবে। আমি আশা করি, আপনারা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যৎ জীবনে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী হবে। সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মসিউর রহমান বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে পুরো পৃথিবী খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমাদেরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, দ্রুত এগিয়ে যেতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩৭৩২ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য আটজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান শুধু সার্টিফিকেট লাভের উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশ এবং জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটির ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সভাপতি, সমাবর্তন বক্তা, বিশেষ অতিথি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা- কর্মচারী, সাংবাদিক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার কমডোর এম মুনিরুল ইসলাম (অব.)।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *