খেলাধুলা সর্বশেষ

তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল ঘোষনা, যা জানালেন মাশরাফি

ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়াই ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মূলত ফিটনেস ইস্যুতে বাদ দেওয়া হয়েছে এই ওপেনারকে

যদিও আগেই জানা গিয়েছিল, ‘আনফিট’ কিংবা ‘অর্ধেক ফিট’ কোনো ক্রিকেটারকে বৈশ্বিক আসরে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে নন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর তামিম-সাকিবের দ্বন্দ্বের ইস্যু তো বেশ পুরনো।

এদিকে দিনভর নাটকীয়তা শেষে আকস্মিকভাবে তামিমের বাদপড়ার পর নানান প্রশ্নের উত্থান হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তামিমের বিশ্বমঞ্চের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে না থাকা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কও চলছে।

যদিও দাবি করা হচ্ছে, ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েছেন তামিম। আর টিম ম্যানেজমেন্টও এই ওপেনারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি।

দেশের ক্রিকেটে যেকোনো বড় সমস্যায় দৃশ্যপটে হাজির হয়ে পথ দেখান সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সবশেষ তামিম ইকবালের অবসর-অবসর ভেঙে ফেরা নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের ঘটনায়ও মধ্যস্থতা করেছিলেন ম্যাশ। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের গুঞ্জনে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা নাগাদ বিসিবিতে যান মাশরাফী। বিসিবিতে প্রবেশের পরপরই দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক এবং হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

ধারণা করা হয়, তামিম-সাকিব ইস্যুতেই বিসিবিতে এসেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক। সেখানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকও করেন ম্যাশ। তবে বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়, তা এখনও অজানা। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক শেষে দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ বিসিবি ভবন ছেড়ে যান মাশরাফী।

অন্যদিকে তামিমকে নিয়ে চলমান আলোচনায় এবার একটি ভুল ভাঙানোর চেষ্টা করলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী। মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

সেখানে ম্যাশের ভাষ্য, একটি তথ্য হয়তো সবাই ভুল দিচ্ছে। তামিমকে বাদ দিয়েছে। আসলে সত্য হলো তামিম দলে থাকতে চায়নি। দলে না রাখা আর থাকতে না চাওয়ার ব্যবধানটা অনেক। আমার মনে হয়, এতটুকু সম্মান তামিমের প্রাপ্য। এখন প্রশ্ন হতে পারে তামিম কেন দলে থাকতে চাইল না। আসলে সে উত্তর আমার কাছে নাই। সেটা একমাত্র তামিমই বলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *