ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নানামুখী অব্যবস্থাপনা নিরসনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন তারা।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে গ্রন্থাগারের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন পোস্টার হাতে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদের। এ সময় তারা, এক দফা এক দাবি, নিরাপদ লাইব্রেরি। দাবি মোদের একটাই, নিরাপদ লাইব্রেরি চাই। ভিসি আসে ভিসি যায়, লাইব্রেরির কোনো পরিবর্তন নেই প্রভৃতি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে শিক্ষার্থীর তুলনায় আসনসংখ্যা কম। পর্যাপ্ত সিসিটিভির নজরদারি না থাকায় সাইকেল-বই চুরি হয়। টয়লেট সংকট। পানির ফিল্টার প্রায়ই নষ্ট থাকে। যানবাহনের বিকট আওয়াজ নিয়মিত পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটায়। বহিরাগত শিক্ষার্থীরা প্রায় নিয়মিত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে, তাদের শনাক্তকরণের কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। লাইব্রেরিতে প্রবেশের সময় প্রতিদিন বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে। গ্রন্থাগারে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা নেই প্রভৃতি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, লাইব্রেরির সামনে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারায়, টয়লেট সংকটের কারণে টিসিবির লাইনের মতো টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেকবার এ বিষয়ে বলা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে দিন।
তারা আরও বলেন, আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নিয়ে সেমিনার ও হলের রিডিংরুমে পড়ার পরামর্শ দেন। শুধু একটি দাবির বিষয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন লাইব্রেরিতে সাউন্ড প্রুফ গ্লাস লাগানোর বিষয়ে ভেবে দেখবেন।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরুদ্দিন মুন্সী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দিন মুন্সী বলেন, উপাচার্য মহোদয় আমাকে ডেকে আশ্বাস দিয়েছেন যে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।