লাইফস্টাইল সর্বশেষ

কর্মব্যস্ততায় প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাতে ১ দিনের ছুটিতেই ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার পাশে

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক/গাজীপুর

গাজীপুরের মাওনাতে অবস্থিত এই সাফারি পার্কটি একদিনের ট্যুরে রোমাঞ্জকর অভিজ্ঞতা দিতে পারে। কোর সাফারিতে উন্মুক্ত বাঘ, সিংহ, জেব্রা, জিরাফ, হরিণ আর এভিয়ারি ল্যান্ডের রঙ-বেরঙের পাখিগুলো এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। গাজীপুর চৌরাস্তা অতিক্রম করে বাঘের বাজার পর্যন্ত গিয়ে বাঁয়ের গলিতে কিছু দূর এগোলেই চোখে পড়বে সাফারি পার্কের বিশাল সাইনবোর্ড।

পানাম নগর/নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলার এই ঐতিহাসিক স্থানটি ঢাকাবাসীর কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি জায়গা। প্রায় ছয় শতাব্দী পূর্বের শত শত পুরাকীর্তির নিদর্শন এই জায়গাটির পাশেই আছে মেঘনা নদী। একসঙ্গে ঘুরে দেখা যাবে সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে বাঁয়ের রাস্তায় বিশ মিনিট এগোলেই দু’পাশে চোখে পড়বে পুরাতন ইটের বাড়িগুলো।

জিন্দা পার্ক/ নারায়ণগঞ্জ

ঢাকার কুড়িল ৩০০ ফিট সড়ক ধরে কাঞ্চন ব্রিজের আগে বাইপাসে মোড় নিয়ে পৌঁছা যাবে জিন্দা পার্ক। ২৫০ প্রজাতির দশ হাজারেরও বেশি গাছ, ৫টি জলাধার এবং অসংখ্য পাখির সমারোহে পার্কটি পরিবার নিয়ে ঘোরার মতো দারুণ একটি জায়গা। পার্কের ভেতরে আরও আছে লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, চিড়িয়াখানা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর মতো লেক।

মৈনট ঘাট /দোহার

মিনি কক্সবাজার নামে খ্যাত এই পদ্মা ঘাটটি অবস্থিত ঢাকার দোহারে। নবাবগঞ্জের রাস্তা ধরে শেষ সীমানা পর্যন্ত গেলে চোখে পড়বে পদ্মার মনোমুগ্ধকর অপরূপ জলরাশি। ঘাটের হোটেলগুলোতে ইফতারের আয়োজন হয়। মৈনট ঘাট আসার পথে নবাবগঞ্জের আনসার ক্যাম্প, জজবাড়ি, উকিলবাড়ি, খেলারাম দাতার বাড়ি সহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসা যায়। তবে এ জন্য রিজার্ভ গাড়ি থাকা ভালো। এতে ইফতার করে ঢাকা উদ্দেশে রওনা হওয়া যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়/সাভার

মূলত শীতের অতিথি পাখি দেখার জন্য জনপ্রিয় জায়গা হলেও প্রাকৃতিক নৈসর্গের জাবি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) সারা বছরই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। ঢাকার সাভারে অবস্থিত এই সাংস্কৃতিক তীর্থভূমি সারা বছরই বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে রঙিন হয়ে থাকে। আর বাংলা নববর্ষে যেন নতুন রূপে সেজে উঠে পুরো ক্যাম্পাস। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তাই বৈশাখী উৎসব প্রত্যক্ষ করতে এই দিনটি ঘুরে আসা যেতে পারে জাবির মহুয়া তলা ও মুক্তমঞ্চে। তবে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে গত কয়েক বছর ধরে দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

পদ্মা রিসোর্ট/মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জের অন্তর্গত লৌহজং-এর এই রিসোর্ট আর পদ্মার টাটকা ইলিশ এক সূত্রে গাঁথা। তাই আগে থেকেই কটেজ বুকিং দিয়ে পরিবার সমেত ঘুরে আসা যায় পদ্মার চড়ে গড়ে ওঠা এই রিসোর্ট থেকে। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের মাঝে কাটানো একটি রাত চির স্মরণীয় করে রাখবে নববর্ষকে। মাওয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত এসে রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোটে করে পৌঁছা যায় এই গন্তব্যে।

বৃন্দাবন রিসোর্ট/ গাজীপুর

রিসোর্টে ভরা গাজীপুরের সেরা রিসোর্ট হিসেবে আখ্যা দেওয়া যেতে পারে এই জায়গাটিকে। কেননা এর স্থাপনার মূল কাঠামো সজ্জা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে জড়ানো। তাই ঢাকার কোলাহল থেকে রেহাই পেতে পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর জন্য সেরা জায়গা এই বৃন্দাবন রিসোর্ট। মাওনা ফ্লাইওভার অতিক্রম করে শিশুপল্লীর পর কিছুদূর গেলেই বৃন্দাবন রিসোর্ট।

৩০০ ফিটের হ্যালিপ্যাড চত্ত্বর/ ঢাকা

নির্মাণের পর থেকেই ঢাকার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে প্রিয় একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক। এখানকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে হ্যালিপ্যাড চত্ত্বরটি সেরা। এর গা ছমছমে ভাব ও পিনপিতম নিরবতায় মনেই হবে না যে এটি ঢাকার ভেতরে অবস্থিত। কুড়িল ৩০০ ফিট ধরে নিলা মার্কেটের পরে একটু ভেতরে হ্যালিপ্যাড চত্বর।

নীলা বর্ষা রিভার কুইন/ সাভার

পরিবার নিয়ে নৌকা ভ্রমণ, ক্যাম্পিং ও ঘুড়ি উড়ানোর জন্য দারুণ একটি জায়গা সাভারের এই রিসোর্ট। ঢাকার নিকটে হওয়াতে গত কয়েক বছর ধরেই ভিড় বাড়ছে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য। নৌকা দিয়ে ছোট্ট বংশী নদী পার হতে হয় এখানে পৌঁছানোর জন্য। সাভারের থানা স্ট্যান্ড থেকে ভাগলপুর বা মানু মিঞার ঘাটে নেমেই পাওয়া যাবে বংশী নদী পারাপারের নৌকা।

সারিঘাট/ কেরানীগঞ্জ

বেশ কয়েক বছর ধরে সারিঘাটের জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে এর শান্ত পরিবেশ ও কাশ ফুল। তবে শরৎ কাল ছাড়াও এর নান্দনিকতা কোন অংশে কমে না। পুরো জায়গাটি ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ভ্রমণেরও ব্যবস্থা আছে। যাত্রাবাড়ী থেকে জুরাইন রেল গেইটের পর পোস্তগলা ব্রিজ পার হলেই পাওয়া যাবে সারিঘাটের পথ।

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *