গত দুই বিশ্বকাপে হেক্সা মিশনে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ভরসার নামটি ছিল নেইমার। ঘরের মাঠেই দেখা গেছে তার চোট ২০১৪ বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। কাতারেও একই পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে সেলেসাওরা। এবারও কি কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে? সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রাত ১০টায় আজ সেই পরীক্ষার জবাব দিতে নামবে ব্রাজিল।
তবে ব্রাজিলের জন্য বড় দুশ্চিন্তা হতে পারে বিশ্বকাপের রেকর্ড। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা সুইসদের বিপক্ষে এর আগে বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলেছে, একটিতেও জিততে পারেনি।
দুই দলের লড়াইটা নিশ্চিতভাবে হবে হাড্ডাহাড্ডি। ব্রাজিলকে আটকানোর পথ ভালো করেই জানে সুইশরা, তার প্রমাণ গত বিশ্বকাপেই মিলেছে। ২০১৮ সালে নেইমারের ব্রাজিলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ইউরোপিয়ান দলটি। রাশিয়ায় বেঞ্চে বসে ওই ম্যাচটা দেখা মারকুইনহোস এখন মূল দলের সেন্ট্রাল ডিফেন্সে। তিনি বলেন, ‘তাদের বিপক্ষে জেতা খুব কঠিন।’
ইনজুরির কারণে নেইমার না থাকলেও
আছেন রিচার্লিসন, ভিনিসিউস জুনিয়র, রাফিনহা ও রদ্রিগো। তারকার অভাব নেই দলে। তারপরও দলে একজনের অভাব স্পষ্ট, নেইমারের। সার্বিয়ার বিপক্ষে গোড়ালির চোট নিয়ে বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না ব্রাজিল। অপ্রতিরোধ্য সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার দলের প্রাণভোমরাকে ছাড়াই নামছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
নেইমার নেই বলে তাদের বিপক্ষে খেলাটা সহজ, তা মনে করছেন না সুইজারল্যান্ড কোচ মুরাট ইয়াকিন, ‘প্রত্যেকে দারুণ দক্ষ, এমনকি সেন্টার ব্যাক ও গোলকিপারও। তারা এখানে এসেছে শিরোপা নিতে।’