যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশসহ অন্তত ১৪টি দেশের পণ্যে নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে এই চড়া শুল্ক। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই সময়সীমা পুরোপুরি অপরিবর্তনীয় নয়। অর্থাৎ আলোচনা ও ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ তথ্য জানিয়ে লেখা একটি চিঠি ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করেন ট্রাম্প।
এদিন বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ মোট ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প জানান, এ দুই মিত্র দেশ থেকে আমদানি পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশের ওপর ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।
৯ জুলাই পূর্বঘোষিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন শুল্ক কার্যকরের তারিখ ছিল বুধবার (১০ জুলাই)। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে তা ১ আগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলবো এটি কঠিন সময়সীমা, কিন্তু শতভাগ নয়। যদি তারা কোনো নতুন প্রস্তাব দেয়, আর সেটি আমার পছন্দ হয়, তাহলে আমি তা গ্রহণ করবো।
ট্রাম্পের দাবি, এসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক ‘অসম’ এবং তারা ‘পারস্পরিকতা বজায় রাখছে না’। তিনি চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক আরো
ট্রাম্প বলেছেন, ব্রিকস জোটের সমর্থক দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
বর্তমানে ব্রিকস জোটে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও নতুন সদস্য হিসেবে রয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক আরোপ ‘প্রেসিডেন্টের নিজস্ব অধিকার’, এবং তিনি চান এসব দেশ সরাসরি আলোচনায় আসুক।প করলে আরও বেশি হারে শুল্ক বসানো হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছিল, ৯০ দিনে ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে দুটি চুক্তি হয়েছে। এছাড়া, চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ট্রাম্পের মধ্যে গত রোববার বাণিজ্য নিয়ে ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই প্রতিনিধিদলে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও রয়েছেন।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP