সর্বশেষঃ বিজ্ঞান বিভাগের যেসব বিষয়ের চাহিদা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, থাকছে স্কলারশিপও
সর্বশেষঃ সহজেই হ্যাক করা যাচ্ছে আইফোন
সর্বশেষঃ সম্পূর্ন বিনা খরচে ইউরোপে পড়াশোনার সুযোগ
সর্বশেষঃ যে ৫ টি মূলমন্ত্র মেনে চললে সুখী হবেন আপনিও
সর্বশেষঃ গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের
সর্বশেষঃ ইন্সটাগ্রামে রিলস বানিয়ে মাসে ৭ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ
সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পেতে ভারতের কর্মকর্তাদের ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানিকে অভিযুক্ত করেছেন মার্কিন আদালত। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দূরত্ব বাড়ছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির জন্য আবারও ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করছে নয়াদিল্লি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির দাবি, একদল তদন্তকারী সাংবাদিক ও বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর সোচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'যদি আদানির দুর্নীতির অনুসন্ধান হয়, তবে মোদির দুর্নীতিও সামনে চলে আসবে।'
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ফেসবুক পোস্টে তিনি মোদিকে খোঁচা মেরে বলেন, ‘মোদিজি সংসদে আসুন। আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে ভয় পাবেন না। ’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিজেপি জানিয়েছে, 'রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টি আদানি গ্রুপের ওপর এককভাবে ফোকাস করে’ ওসিসিআরপি’র নিবন্ধ ব্যবহার করেছে এবং সরকারের সঙ্গে তাদের কথিত ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা করছে।
বিজেপির অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এক বিবৃতিতে ওসিসিআরপি বলেছে, 'এটি একটি স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। মার্কিন সরকার কিছু অর্থায়ন করলেও তাদের সম্পাদকীয় নীতি ও প্রতিবেদনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব নেই।'
ওসিসিআরপি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের তৈরি প্যাগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরকারবিরোধীদের টার্গেট করা হচ্ছে।
আদানি গ্রুপের ওপর ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ধাক্কা লেগেছে ভারতের অর্থনীতিতেও। শেয়ারের দরপতনসহ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। সম্প্রতি গ্রুপটির সঙ্গে একটি বড় চুক্তি বাতিল করেছে কেনিয়া।
উল্লেখ্য, দুই দশক ধরে নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক ভালো থাকলেও সম্প্রতি তাতে বড় ধরনের ফাটল দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দুই দেশে একে অপরকে দোষারোপে নেমেছে। ভারতে সংখ্যালঘু নিপীড়ন, ধর্মীয় স্থাপনার ওপর হামলা নিয়েও একাধিকবার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এক শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়েও চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে।
We are not gonna make spamming
© 2025 Academic Diary. All Rights Reserved.
BACK TO TOP