ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ‘ইহুদি শত্রু এবং তার জঘন্য সমর্থকদের ওপর যুদ্ধ বন্ধের জাতীয় সিদ্ধান্ত’ সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘শত্রুদের নিষ্ঠুরতার প্রতি অপমানজনক এবং দৃষ্টান্তমূলক জবাব’ দিয়েছে।
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা এবং ভোরে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে এর ‘পরিণতি ঘটে’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, তেহরান তার ভূখণ্ডে আক্রমণের আনুপাতিক এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ‘শত্রুকে অনুশোচনা করতে, পরাজয় মেনে নিতে এবং একতরফাভাবে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে’।
তবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আবারও ‘কঠোর জবাব’ দেয়ার হুমকি দিয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ একটি বিবৃতি জারি করেছেন, যেখানে তিনি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) ‘তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে তীব্র হামলা চালিয়ে ইরানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জোরালো জবাব দেয়ার’ নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বিবিসি’র।
যদিও ইরান এখন পর্যন্ত এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে বলেছেন, ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ করে তবেই তারা জবাব দেয়া বন্ধ করবেন।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর প্রকাশের পর অতি-ডানপন্থি ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী একটি ‘অশুভ সতর্কতা’ জারি করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে হিব্রুতে একটি ছোট বার্তা পোস্ট করেছেন স্মোট্রিচ। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘তেহরান কাঁপবে’।