বিদেশ শিক্ষা সর্বশেষ

IELTS নিয়ে আর নয় ভয়, MOI দিয়েই করুন উচ্চশিক্ষার আবেদন

বিশ্বায়নের এই যুগে নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে এবং উন্নত শিক্ষা লাভের আশায় দেশ ছেড়ে প্রতিবছর হাজার হাজার স্টুডেন্ট পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে ঝামেলার বিষয় হলো বিদেশি ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন,যদি আরো স্পষ্ট করে বলতে চাই সেটি হলো ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় বিশ্বের যেকোন দেশে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ইংরেজি ভাষা জানা আবশ্যক

ইংরেজি ভাষা দক্ষতা নিরূপনের জন্য সবাইকে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্পিকিং টেস্ট ( IELTS) পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হয়। আপনি আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এমনকি ইউরোপের যেকোন দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান না কেন আপনাকে আইএলটিএস পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েই সে দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে হবে। নতুবা ভিসা পাওয়া সম্ভব না। সাধারনত IELTS এ ৬.৫ বা ৬ পেলে আপনি যেকোন দেশের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিন্তুুু যেহেতু আমরা জন্মগত ভাবে ইংরেজী ভাষায় কথা বলি না সেহেতু IELTS-এ সেই পরিমান দক্ষতা অর্জন করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া অনেকের ইংরেজীতে যথাযথ দক্ষতা থাকার পরও পরীক্ষার সময় ঘাবড়ে যেয়ে বা পরীক্ষাভীতির কারণে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এখানেই শেষ নয়। MOI পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা আবেদন করতে পারবে উচ্চশিক্ষার জন্য।

MOI এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার গ্রহনের ব্যাপারে আমাদেরকে বিস্তারিত জানিয়েছেন ‘লিডবার্গ এডুকেশন’ এর সিনিয়র এডমিশন এক্সিকিউটিভ জনাব তৌফিক রায়হান। তিনি জানান –

“Medium of Instruction (MOI) হচ্ছে আপনার স্নাতক তথা বা ব্যাচেলর পড়াশোনার মাধ্যম যে ইংরেজীতে সম্পন্ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সেটির একটি প্রত্যয়নপত্র বা সার্টিফিকেট। সাধারনত আমাদের দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাদে সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠ্যকার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে আবার ইংরেজী মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং এসব শিক্ষার্থীরা সহজেই MOI এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। তাদের আর IELTS এর প্রয়োজন হবে না। “

তিনি আরো বলেন,” Medium of Instruction (MOI) ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে। তবে MOI দিয়ে ব্রিটেন ও কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। ২০২০ সাল থেকে প্রচুর পরিমাণ শিক্ষার্থী IELTS ছাড়া শুধু MOI এর মাধ্যমে UK এর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হয়েছে।”

তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ই যে আবার MOI এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয় বিষয়টি এমন নয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার MOI এর সাথে IELTS রেজাল্টও দেখতে চায়। তাই শিক্ষার্থীকে খুঁজে বের করতে হবে কোন দেশের কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী কী ডিপার্টমেন্ট MOI গ্রহন করে সেগুলো লিস্ট করে তারপর একে একে আবেদন করতে হবে। কাজটি নিজে নিজে করতে পারলে তো খুবই ভালো। কিন্তুু কাজটি অনেক সময়সাপেক্ষ এবং অনেকেই সঠিক ভাবে খুঁজে বের করতে পারে না।

তাদের ব্যাপারে জনাব তৌফিক রায়হান বলেন,” সারা বিশ্বের কোন বিশ্ববদ্যালয়ে MOI এক্সেপ্টেড তা খুজে বের করে তারপর আবেদন করার প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট সময়সাধ্য এবং জটিল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারে না। তারা চাইলে লিডবার্গ এডুকেশনের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অ্যাসেসমেন্ট ফাইল তৈরী করে তার ব্যাকগ্রাউন্ড ও চাহিদার সাথে মিল রেখে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় MOI এক্সেপ্টেড সেগুলো খুঁজে বের করা সহ আবেদন প্রক্রিয়ার কাজটিও সম্পন্ন করে থাকি। এতে করে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় সাশ্রয় হয়, সে সময় তারা অন্য কোথাও কাজে লাগাতে পারে। ”

সুতরাং বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনে IELTS এখন আর কোন বড় সমস্যা নয়। শিক্ষার্থীদের এখন আর এটি নিয়ে ঘাবড়াবার বা আতংকে থাকার কিছু নেই। যারা IELTS দিতে চান না, তারা চাইলেই এখন MOI এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য কার্যক্রম শুরু করতে পারে। তবে সময় সুযোগ থাকলে কিছুটা কষ্ট করে হলেও IELTS করে ফেলা উচিত। কেননা সেটি আপনার দক্ষতার একটি পরিচয় হিসেবে স্বীকৃত হবে। পাশাপাশি ভিসা পাওয়ার ব্যাপারেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজতর হবে।

MOI এর ব্যাপারে আরো বিশদভাবে জানতে এবং উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি জানতে সরাসরি বা অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন লিডবার্গ এডুকেশনের সাথে। তাদেরকে ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে ক্লিক করুন এখানে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *