আন্তর্জাতিক

লেবানন ত্যাগ করছে সৌদি কূটনীতিকরা

লেবানন ছাড়ছে সৌদি আরবের দূতাবাসের কর্মচারী ও কূটনীতিকদের পরিবার। গত মঙ্গলবার বৈরুত ছেড়ে যাওয়া দুটি সামরিক বিমানে তারা দেশে ফিরে যায় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্মকর্তারা।

সংবাদ সংস্থা এপির বরাত দিয়ে আহরাম অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও সৌদি আরব তার নাগরিকদের অবিলম্বে লেবানন ত্যাগ করার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সৌদি দূতাবাসের পক্ষে থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেবাননের কর্মকর্তারা বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় ৬৫ জন লেবানন ছেড়েছেন। তবে লেবাননে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ বুখারি, সামরিক অ্যাটাশে এবং অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মচারীরা দেশ ছেড়ে যাননি।

লেবাননে সৌদি দূতাবাস এখনো স্বাভাবিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এসেছে সৌদি দূতাবাসের কর্মচারী ও কূটনীতিকদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার খবর। লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সদস্যরা দুই দেশের সীমান্তে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।

ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গত সোমবার চার হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, সোমবার ওয়াদি খানসা, কাফারহাম গ্রাম এবং দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননের বাস্ত্রা ফার্মে চারটি অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় তারা।

লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন ফোর্স (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করার এবং রেডক্রস যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের মারজেয়ুন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে, সেই অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। এ কারণে হামাস-ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত দ্বিতীয় যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠবে কি না, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিনই উত্তর ইসরায়েলে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে গত শনিবার বলা হয়, ভাষা, ধর্ম ও সুরক্ষিত সীমানা দ্বারা বিভাজন থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের উভয় পাশের বাসিন্দারা। এই সীমান্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় দুপাশের হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *