শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর। আর আজ (২১ নভেম্বর) এমনই এক মহান কারিগর জনাব মীর মোকাদ্দেস আলী রিপনের জন্মদিন। জনাব মীর মোকাদ্দেস আলী রিপন সাবেক বিউবিটির ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।তাই এই বিশেষ দিনে তার জন্মদিন উপলক্ষে লিডবার্গ এডুকেশনের পক্ষ থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন লিডবার্গ এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জনাব রাকিব হাসান।
জনাব মীর মোকাদ্দেস আলী রিপন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে । সেখানে কয়েকবছর শিক্ষকতা শেষে তিনি পুনরায় ফিরে যান তার ছাত্র জীবনের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি শাহ মখদুম হলের হাউস-টিউটর হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (এডিবি-জেএসপি) স্কলারশিপের আওতায় থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে এগ্রি-বিজনেস ম্যানজমেন্ট উপর উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছেন। একাডেমিক দিকে তার এই উৎকর্ষ ও সাফল্যমন্ডিত অর্জন যে কোন ব্যক্তির কাছই ঈর্ষণীয়।
একাডেমিক দিক বাদেও তিনি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন লেখালেখি করে থাকেন। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার পাশাপাশি দূর প্রবাসে একজন বাংলাদেশী ছাত্র হিসেবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি, সমস্যার সমাধান এবং সেই অভিজ্ঞতার বিষয় নিয়েও লিখে থাকেন। পাশাপাশি ভ্রমণপিপাসু হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের মুহূর্তও শেয়ার করে থাকেন, যা তার শুভাকাঙ্খী ও অনুরাগীদের মাঝে বেশ প্রশংসিত।
ব্যাক্তি জীবনেও তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও প্রচন্ড অমায়িক একজন মানুষ। সবর্দা সকলের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাইতো কারো কাছে তিনি শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, কারো কাছে ভালোবাসার বড় ভাই আবার কারো কাছে কঠিন সময়ের নিঃস্বার্থ বন্ধু। বিনয়ীর সুর দিয়ে তিনি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। এজন্যই উনিশ শতকের বিখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ হেনরি এ্যাডামস বলেছেন, ‘শিক্ষকের প্রভাব অনন্তকালে গিয়েও শেষ হয় না’।
পারিবারিক জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক এবং একজন আদর্শ বাবা ও স্বামী জনাব মীর মোকাদ্দেস আলী রিপন। তার এই জন্মদিনে লিডবার্গ এডুকেশন পুনরায় তার সুস্থতা ও ভবিষ্যত জীবনের সফলতা কামনা করে এবং তিনি তার জ্ঞান, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে দেশ ও জাতির মেধা বিকাশ ও উন্নয়নে অবদান রাখবেন