বিশ্ব বিদ্যালয়

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নিয়ে ফেসবুকে গুজব জয়কলির

“দেশের ষষ্ঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাম লিখাতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ [প্রস্তাবিত নাম ময়মনসিংহ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (মুয়েট)]”— এমন একটি ভুয়া তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল শনিবার জয়কলি পাবলিকেশনসের ফেসবুক পেজ থেকে এমন গুজব ছড়ানো হয়। যেখানে কোন সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।

এর প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এমনকি অনুমোদন প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি।

জানা গেছে, দেশে কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মূখ্য সচিব অথবা সমপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কোন জেলায় এবং কি ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে সেটি চিঠির মাধ্যমে জানায়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইউজিসিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে খসড়া আইন তৈরির কথা বলা হয়।

পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রথমে আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর এ নিয়ে সংসদে বিল উপস্থাপন করা হয়। সেখানে পাশ হয়ে পরবর্তীতে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ষষ্ঠ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সে হিসেবে ময়মনসিং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোন কিছুর অস্থিত নেই কোথাও।

ফেসবুকে এমন তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রবিবার জয়কলি পাবলিকেশনস লিমিটেপেরর তথ্য প্রযুক্তি শাখার মাধব বণিক বলেন, তথ্যটি আমরা ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পেয়েছিলাম। এছাড়া ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রস্তাবিত নাম হিসেবে ময়মনসিংহ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়া হয়েছে। তাই আমারা পোস্ট করেছি। এটি নিয়ে নিউজ করার কিছু নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ময়মনসিংহে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে বলে আমাদের জানা নেই। এ ধরনের কোনো খবর ছড়ানো হলে সেটির সত্যতা নেই।

জয়কলির এমন তথ্যকে গুজব আখ্যা দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (উপসচিব (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মোছা. রোখছানা বেগম বলেন, ময়মনসিংহে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেটি সর্বপ্রথম আমরাই জানতাম। তবে আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। এটি সম্পূর্ণ গুজব।

সূত্রঃ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *