বিদেশ শিক্ষা সর্বশেষ

বিদেশী শিক্ষার্থীদের কানাডা পড়তে খরচ করা লাগবে আগের চেয়ে দ্বিগুন অর্থ

কানাডা যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য শর্ত আরও কঠিন করলো দেশটির সরকার। কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছেন, লেখাপড়ার জন্য কানাডায় আসতে হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে আগের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হবে। এর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় যাওয়া আরও কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের খরচ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে দেশটির ফেডারেল সরকার। দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

আগামী বছর থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে। গত দুই দশক ধরে দেশটিতে স্টাডি পারমিট পেতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেখাতে হতো যে ব্যাংকে তার ১০ হাজার ডলার আছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, এখন থেকে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে ২০ হাজার ৬৩৫ ডলার দেখাতে হবে। এই অর্থ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য কানাডায় জীবনযাপনের নিশ্চয়তা।

মার্ক মিলার বলেছেন, কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমন্বয় করা হয়নি। এর ফলে কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেখতে পান সেখানে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই।

তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। এতদিন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২০ ঘণ্টা কাজ করার অনুমতি ছিল। ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অপব্যবহার নিয়ে নিয়োগকর্তা ও প্রতিষ্ঠান, উভয়কেই সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়েছেন মিলার।

সংবাদ সম্মেলনের সময় তিনি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও সিস্টেমের মধ্যে জালিয়াতি এবং অপব্যবহার মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, প্রদেশগুলোতে ‘পপি মিল’ (কুকুর ছানা তৈরির কারখানা) সমতুল্য কিছু ডিপ্লোমা চালু আছে যেগুলো কেবল নামে মাত্র চলছে। তারা প্রকৃত ছাত্র তৈরি করতে পারে না।

ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার জায়গা দিতে পারবে ও দায়িত্ব নিতে পারবে এমন নিশ্চয়তা দিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির করানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়ার জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মিলার।

সিবিসি জানিয়েছে, উপযুক্ত থাকার জায়গা খোঁজার ক্ষেত্রে ও বাধ্য হয়ে কষ্টের চাকরি করতে গিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা মোকবিলা করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মিলার বলেন, এ কারণেই আমরা আশা করি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক তত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পড়ার সুযোগ দেবে যতজনের থাকা-খাওয়ার সুবিধা তারা দিতে পারবে।

আন্তর্জাতিক ছাত্রদের চাকরিতে হয়রানিসহ যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মিলার। এবিষয়ে সকল প্রদেশকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তবে এই কাজে প্রদেশগুলো ব্যর্থ হলে ফেডারেল সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত বলেও সতর্ক করেছেন মিলার।

উচ্চশিক্ষায় কানাডাগামী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে লিডবার্গ এডুকেশন। তাই এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও কানাডায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে মেসেজ দিন এখানে

এছাড়া দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যাপারে জানতে ও ক্যারিয়ার বিষয়ক গাইডলাইন পেতে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে লিডবার্গ এডুকেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *