লাইফস্টাইল

প্রতিদিনকার খাবারে রাখুন কলা, পাবেন যেসব উপকার

পেশী তৈরি, ওজন নিয়ন্ত্রণ বা শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে চাইলে প্রতিদিন একটি করে কলা খান। সামগ্রিক মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বাড়াতে সাহায্য করবে উপকারী এই ফল। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করার ১০ কারণ জেনে নিন।

১। পুষ্টিগুণে ভরপুর 

অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর কলা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন সি, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন বি৬, হজমের সমস্যা দূর করার জন্য ফাইবার এবং রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পটাসিয়াম মিলবে কলায়। কলা প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে কলার বিকল্প নেই। কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং পেশীর স্বাস্থ্যে অবদান রাখে। কলায় পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং ডায়েটারি ফাইবারসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে।

২। পটাসিয়ামের ভালো উৎস
কলা হলো পটাশিয়ামের অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস, যা হৃদপিণ্ড এবং পেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩। শক্তি বৃদ্ধি
কলার প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ব্যায়াম পরবর্তী সময়ে কিংবা ক্লান্তিবোধ করতে কলা খেয়ে নিন। উপকার পাবেন ঝটপট।

৪। হজমের সমস্যা দূর করে 
কলায় থাকা ফাইবার, বিশেষ করে পেকটিন নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করার পাশাপাশি সামগ্রিক পরিপাক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ফলটি।

৫। দ্রুত হজম হয়
সংবেদনশীল পেট যাদের বা যাদের হজমের অস্বস্তি রয়েছে, তাদের জন্য প্রায়ই কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এগুলো হজম করা সহজ এবং পেট খারাপের জন্য ভালো।

৬।হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে 
কলার মতো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৭। সঠিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে 
কলা ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালোরি এবং চর্বি তুলনামূলকভাবে কম। কলা দৈনন্দিন ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

৮। মন ভালো থাকে
কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বি৬ সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনে জড়িত, যা ইতিবাচকভাবে মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে এবং চাপ কমাতে পারে।

৯। ত্বক সুস্থ থাকে
কলায় থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ফলে ত্বক থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

১০। প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে অতুলনীয় 
কলা স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে।স্মুদি, ওটমিল বা বেকড খাবারে প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন পাকা কলা। শিশুর খাবার মিষ্টি করতেও এর বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *