হেক্সা জয়ের মিশনে সর্বশেষ তিনটি ফিফা বিশ্বকাপেই ব্রাজিলের স্বপ্নসারথী ছিলেন নেইমার। তবে সেলেসাও সমর্থকদের মতো তারও বিশ্বকাপ অভিযানের শেষটা হয়েছে অশ্রু বিসর্জনের মাধ্যমে। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায়ের পরে তো একরকম মানসিকভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন এ ফরোয়ার্ড।
কাতার বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায়টা নেইমারকে এতটাই পীড়া দিয়েছিল যে জাতীয় দলের হয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় নেইমারের সেই ক্ষত শুকিয়েছে। ৩১ বছর বয়সী এ ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারও তাই যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার আভাস দিয়ে রাখলেন।
ব্রাজিলের ক্রীড়াবিষয়ক টিভি চ্যানেল টিএনটি স্পোর্টসের নারী সাংবাদিক ক্লারা আলবুকার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, “আমি বছর ধরে ধরে এগিয়ে যেতে চাই। এরপর দেখব কী হয়। অবশ্যই, আমার বড় একটা স্বপ্ন আছে, সেটা হলো বিশ্বকাপ জেতা।”
আগামী বিশ্বকাপ খেলার ক্ষেত্রে নেইমারের একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হতে পারে বয়স। পরবর্তী বিশ্বকাপের আসর মাঠে গড়াতে গড়াতে নেইমারের বয়স হবে ৩৪। ল্যাটিন আমেরিকান ফুটবলারদের ক্ষেত্রে বয়সটা বুটজোড়া তুলে রাখার। কিন্তু বয়সের প্রতিকূলতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠিকই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে ইচ্ছুক তিনি।
এক্ষেত্রে লিওনেল মেসিকেই আদর্শ মানছেন নেইমার। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দুজন একসঙ্গে স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সেলোনায় খেলেছেন। ২০২১ সাল থেকে পিএসজির জার্সিতেও তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সতীর্থ হিসেবে রয়েছেন। ৩৫ বছর বয়সে কাতার বিশ্বকাপে একাধিক রেকর্ডের জন্ম দিয়ে মেসি প্রমাণ করে দিয়েছেন, বয়স কোনো বাধাই না।
নেইমার বলেন, “লিও (মেসি) সবসময়ই অনুপ্রেরণা৷ সে সবসময় আমাকে সাহায্য করে, উৎসাহিত করে। তাকে ৩৫ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিততে দেখে আমিও এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি।”