আজ, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সারাবিশ্বে পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন-প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে আলোচনা সভা, বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়, র্যালি এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বাংলাদেশেও।
বাংলাদেশের শহর ও গ্রামে প্রায় সমানভাবে বাড়ছে ডায়াবেটিসের রোগী। গত দুই বছরে ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। নিয়মিত চিকিৎসা না করায় ইনসুলিন নেওয়ার পরও ৮০ ভাগের বেশি রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৩ নভেম্বর) ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৫৪ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৪৫ সালে ৭৮ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে। ২০২১ সালে বিশ্বে ৬৭ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। দেশের ৬৫ শতাংশই জানে না তাদের ডায়াবেটিস আছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ১০০ জনের মধ্যে ২৬ জন নারীই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। যাদের ৬০ শতাংশই পরবর্তীকালে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। এসব রোগীর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে মাত্র ৩২০ জন।
অন্যদিকে, দিবসটিকে ঘিরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশে এন্ড্রোক্রাইন সোসাইটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সোমবার (১৩ নভেম্বর)। এতে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের (বিএসএমএমইউ) এন্ডোক্রাইনোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম বলেনসর্বশেষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়নে যে গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, দেশে মোট জনসংখ্যার ১০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে। ডায়াবেটিস থেকে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। এর মধ্যে প্রধান হলো হৃদরোগ। হৃদরোগের ৮০ শতাংশই রোগী ডায়াবেটিসের কারণে মারা যায়। ৪০-৪৫ শতাংশের কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হয় ডায়াবেটিসের কারণে। এছাড়া অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগীর ২৯ শতাংশ রেটিনোপ্যাথিতে ভু’