বিনোদন

জিনাত বরকতউল্লাহর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, জিনাত বরকতউল্লাহর মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

রাষ্ট্রপতি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অন্যদিকে শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিনাত বরকতউল্লাহ দেশের একজন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জিনাত বরকতুল্লাহ চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী গাজী আলিমুদ্দিন মান্নানের কাছে নৃত্য শেখা শুরু করেন। এ ছাড়াও বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নৃত্য শিক্ষা লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে জিনাত বরকতুল্লাহ যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্টস একাডেমিতে।

পরে তিনি শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রোডাকশন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি ২৭ বছর কর্মরত ছিলেন।

১৯৮০ সালে জিনাত বরকতুল্লাহ বিটিভির নাটক ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন। এরপর ‘ঘরে বাইরে’, ‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’, ‘কথা বলা ময়না’সহ বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় করেন তিনি।

জিনাত বরকতুল্লাহ নৃত্যশিল্পে অবদানের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন। ২০২০ সালের ৩ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জিনাত বরকতুল্লাহর স্বামী টিভি ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ। তাদের দুই কন্যা সন্তান বিজরী বরকতুল্লাহ ও কাজরী বরকতুল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *