বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ওপেনএআই এর সিইও পদে পুনরায় নিয়োগ পেলেন স্যাম অল্টম্যান

কর্মীদের গণপদত্যাগের হুমকির পর স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইয়ের সিইও পদে পুনর্বহাল করেছে কোম্পানি। কয়েক দিন আগে তাঁকে অপসারণকারী পরিচালনা পর্ষদে রদবদলের শর্তে তিনি ফিরতে রাজি হয়েছেন বলে ওপেনএআই জানিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার আকস্মিকভাবে অল্টম্যানকে বহিষ্কার করে ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ। এরপর স্যামকে পুনর্বহালের দাবিতে গণপদত্যাগের হুমকি দেন কোম্পানির কর্মীরা।

এক্স প্ল্যাটফর্মে অল্টম্যান বলেন, ‘ওপেনএআইয়ে ফিরতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি ওপেনএআইকে ভালোবাসি এবং  কয়েক দিন ধরে যা করেছি, তা এই দল ও এর মিশনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য।’

ওপেনএআই ‘মাইক্রোসফটের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে’ বলেও তিনি জানান।

অল্টম্যানের বহিষ্কারের পর সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন। এর ফলে কোম্পানির কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

পরিচালনা বোর্ডের তিন সদস্য অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলো, তাশা ম্যাককাউলি ও হেলেন টোনার এবং তৃতীয় সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ফার্মের প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুটস্কেভার মিলে এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু গত সোমবার সুটস্কেভার এক্স প্ল্যাটফর্মের পোস্টে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছেন এবং বোর্ডকে উল্টো পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কর্মীদের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

ওপেনএআইয়ে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। ‘একটি নতুন উন্নত এআই গবেষণা দলে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মাইক্রোসফট অল্টম্যানকে চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছিল। এরপর কর্মীরা একসঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে মাইক্রোসফট পুরো টিমকেই চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

ওপেনএআই বলেছে, অল্টম্যানের প্রযুক্তি কোম্পানিতে ফিরে আসার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হবে।

বর্তমান পরিচালক অ্যাডাম ডি’অ্যাঞ্জেলোর সঙ্গে সাবেক কো-সিইও (সেলসফোর্স) ব্রেট টেলর এবং সাবেক মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ল্যারি সামারস পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেবেন।

এক্সের এক পোস্টে ব্রকম্যান বলেছেন, তিনি কোম্পানিতে ফিরে আসবেন।

ওপেনএআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী এমেট শিয়ার বলেছেন, ৭২ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করার পর অল্টম্যান ফিরে আসায় তিনি ‘খুব সন্তুষ্ট’।

মাইক্রোসফটের প্রধান সত্য নাদেলা বলেন, ‘ওপেনএআই বোর্ডের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে তাদের কোম্পানি উৎসাহ পেয়েছে। আরও স্থিতিশীল, সুপরিচিত ও কার্যকর শাসনের পথে এটি প্রথম অপরিহার্য পদক্ষেপ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *