নিরাপত্তা :
অন্তর্মুখী লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ নিজেদেরকে অন্যদের কাছে তুলে ধরার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন ননকিন্তু বর্হিমুখী লোকেরা অন্যদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার পাশাপাশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান। নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক নারী এমন একজন মানুষ চান যিনি নিজে নিরাপদ থাকবেন, তাকেও নিরাপদ রাখবেন।
একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তির অনেক গুণ রয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো সততা। আত্মসচেতন হওয়া, ব্যক্তিগত শক্তি এবং দুর্বলতা বোঝা, অন্যদের প্রভাবিত করার প্রয়োজন অনুভব না করা, অন্যের প্রশংসা করা ইত্যাদি বিষয়গুলো একজন অর্ন্তমুখী মানুষকে সৎ হিসেবে গড়ে তুলে। একজন ম্যাচিউরড বা পরিণত মস্তিষ্কের নারীর জন্য, সৎ প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক কেবল রোম্যান্সের নয়। একজন নারীর খুব ভালো বন্ধুও প্রয়োজন।
ভালো শ্রোতা :
অনেকেই আছেন যারা ভালো শ্রোতা না, কেবল নিজের কথাই বলতে ভালোবোসেন। তারা ভুলে যান যে, ভালো শ্রোতা না হলে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অকালেই সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। অর্ন্তমুখী লোকেরা ভালো শ্রোতা হয় থাকেন। বিষয়টা নারীদের আকর্ষণ করে খুব।
সিরিয়াসনেস :
অর্ন্তমুখী লোকেরা জীবনের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে প্রখর চিন্তাভাবনা করেন। তারা গুরুত্ব সহকারে নিজেদের লক্ষ্য ও পরিবারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। জীবন নিয়ে ‘সিরিয়াসনেস’ যাদের মধ্যে নেই, তাদের সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন নারীরা।
অল্পতেই তুষ্ট :
অর্ন্তমুখী স্বভাবের লোকেরা অল্পতে তুষ্ট বা খুশী থাকেন। সুখী হতে এ ধরনের মানুষের খুব বেশি কিছু দরকার পড়ে না। এ কারণে নারীরা অর্ন্তমুখী স্বভাবের পুরুষের ওপর আকর্ষিত হন খুব সহজেই।
বিশ্বস্ততা :
একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তি সাধারণত বর্হিমুখী ব্যক্তির চেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্য ও বিশ্বস্ত থাকেন। অন্তর্মুখী স্বাভাবের মানুষরা কোনো বিষয়ে গোপনীয়তা রাখার গুরুত্ব বুঝতে পারেন। তিনি সবাইকে সবকিছু বলে বেড়ান না।
সঙ্গীনির উন্নতির চ্যালেঞ্জ :
অর্ন্তমুখী স্বভাবের পুরুষেরা তাদের সম্পর্কের বিষয়ে যত্নশীল থাকেন। এ কারণে তারা চান তাদের সঙ্গীনিরও ব্যক্তিক, সামাজিক এবং পেশাগত উন্নতি ঘটুক। আর এই বিষয়ে তারা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পিছপা হন না কখনো।