খোলা কলম সম্পাদকীয় সর্বশেষ

আত্মবিশ্বাসের সাথে চ্যালেন্জ নিন, নিজেকে ভেঙ্গে গড়ে তুলুন নতুন ভাবে

পরিবর্তন সব সময় সুখকর নয়। যে পরিবেশ–পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন, হুট করে সেই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এসে নিজেকে পরিবর্তন করা বড্ড কঠিন। তাই নিজেকে পরিবর্তন করতে ভয় পান অনেকে। প্রশ্ন হলো, এই ভয়টা আদতে কী? আর সেই ভয় কাটিয়ে কীভাবে পরিবর্তন নিয়ে আসবেন জীবনে?

ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন

একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন একটি কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাঁদের সহায়তা নিন। যাঁরা নেতিবাচক কথা বলেন, তাঁদের এড়িয়ে চলুন।

 

লোকে কি বলবে তা চিন্তা করা বাদ দিন

প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ অন্যের চোখে ভালো হতে চায়, অন্যের চোখে ভালো সাজতে চায়। যে কারণে লোকের মতামতকে আমরা গুরুত্ব দিই। নিজেকে বদলে ফেলার কথা যখনই মাথায় আসে, তখনই লোকের মতামতের চিন্তাও স্বাভাবিকভাবে মাথায় স্থান পায়। যে কারণে অনেকেই নিজেকে বদলে ফেলা থেকে বিরত থাকেন। অন্যের মতামত নিয়ে সারাক্ষণ ভাবলে তা নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতার ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। যে কারণে অন্যের কথা না ভেবে নিজে কী চাচ্ছেন, তা ভাবুন। সে ভাবনা অনুযায়ী নিজের কাজ করুন।

নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করুন

নিজেকে বদলে ফেলতে চাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ, নিজের খারাপ অভ্যাসগুলো ঝেড়ে ফেলে নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলা। অনেক সময় দেখা যায়, শুরুর আগেই থমকে যান অনেকে। কারণ, নিজেকে বদলে ফেলার আত্মবিশ্বাস বা নতুন করে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার আত্মবিশ্বাস থাকে না অনেকের মধ্যে।

বাজে অভ্যাস ত্যাগ করুন

কথায় আছে, মানুষ অভ্যাসের দাস। প্রতিদিনের জীবনে কিছু কাজ থাকে, যা নিয়মিত করতে করতে অভ্যাসে পরিণত হয়। সে অভ্যাসগুলো ছুড়ে ফেলে নতুন মানুষ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরা বেশ কঠিন। অভ্যাস পরিবর্তনের ভয় থেকেও অনেকে নিজেকে বদলে ফেলতে ভয় পান।

যেখানে আগ্রহ, সেখানে সময় দিন

আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন নিজেকে ১ ভাগ করে ছাপিয়ে গেলে ছয় মাস পরেই নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

সর্বদা নতুন জিনিস সম্পর্কে জানুন এবং শিখুন 

প্রতিদিন নিজের শেখার পরিবেশে রাখুন। চারপাশ থেকে শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।

তথ্যসূত্র : প্রথমআলো, ডটবাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *