স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

আড়াইলাখ শিশুকে দেওয়া হয়েছে এইচপিভি টিকা

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অধীনে স্কুল পর্যায়ে চলছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কার্যক্রম। এ কার্যক্রমের আওতায় দুদিনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯৬ জনকে শিশুকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআরই কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইপিআরই ডা. তানভীর রহমান  জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯৬ জনকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে, ওয়েভ সাইটের কিছু টেকনিকাল সমস্যা দেখা দেওয়ায় টিকা দেওয়ার কিছু তথ্য কম হতে পারে। তবে, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। গত ১৫ অক্টোবর সকালে শুরু হয় এ টিকাদান কার্যক্রম।

ডা. তানভীর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া। সেই পরিমাণ টিকা রয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকা পাঠিয়েছি। গত কয়েকদিনে ভ্যাকসিনডট গভ ডটবিডি ওয়েবসাইটে প্রায় ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪২ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। আশা করছি, এখনো সময় আছে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন ইপিআই কর্মকর্তারা। তাদের মতে, প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ উদ্যোগে যদি শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন করিয়ে নেয়, তাহলে অনেক সুবিধা হতো। এখন দেখা যাচ্ছে, যেদিন টিকা দেওয়া হবে, সেদিনই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে প্রতিষ্ঠানে আসছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আওতার বাইরে যেসব শিক্ষার্থী আছে তারা জন্ম সনদপত্র দিয়ে নিবন্ধন করে আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে টিকা নিতে পারবে। যাদের বয়স আছে তারা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারবে।

ঢাকা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই কার্যক্রম চলছে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এখনো শুরু হয়নি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ইপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *