বিনোদন সর্বশেষ

আজ বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ার ৫০ তম জন্মদিন

আজ, বুধবার (১ নভেম্বর) ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন। জীবনের হাফ সেঞ্চুরিতে পা রাখলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত তারকা। বিশেষ দিনে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অধ্যায়ে চোখ বুলানো যাক…

১৯৯৪ সালে ভারতে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সে আসরে প্রথম রানারআপ হন ঐশ্বরিয়া। তবে ঘটনাক্রমে তিনি পৌঁছে যান মিস ওয়ার্ল্ডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আর সবাইকে টপকে জিতে নেন সেরার মুকুট। হয়ে যান ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ তথা বিশ্বসুন্দরী।

মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ের পরই ঐশ্বরিয়ার কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসতে শুরু করে। এখন তিনি বলিউডের নামজাদী অভিনেত্রী হলেও শুরুটা কিন্তু হয়েছিল তামিল ছবি দিয়ে। বিখ্যাত নির্মাতা মণিরত্মমের পরিচালনায় ১৯৯৭ সালে ‘ইরুভার’ দিয়ে তার রূপালি পথচলা শুরু হয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, একই বছর তিনি বলিউডেও আত্মপ্রকাশ করেন; ‘অউর পেয়ার হো গায়া’ সিনেমার মাধ্যমে।

১৯৯৯ সালে সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া। এটিই তার ক্যারিয়ার ভিত গড়ে দেয়। একই বছর সুভাষ ঘাইয়ের ‘তাল’ ছবিটিও তাকে প্রশংসা, জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর তাকে দেখা গেছে ‘দেবদাস’, ‘গুরু’, ‘ধুম ২’, ‘যোধা আকবর’, ‘চোখের বালি’, ‘এনথিরাম’, ‘গুজারিশ’, ‘পন্নিয়িন সেলভান’র মতো দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমায়।

বিখ্যাত কান উৎসব যেন ঐশ্বরিয়ার দ্বিতীয় বাড়ি! নিয়ম করে প্রতি বছরই তার ডাক আসে সেখানে। তিনিও মুগ্ধতা ছড়াতে হাজির হন চোখ ধাঁধানো সাজে। টানা দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কান উৎসবের লাল গালিচায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন!

সুখী দাম্পত্য

পর্দায় জুটি বাঁধার পর বাস্তব জীবনেও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চন। এরপর ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল তারা বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এসেছে এক কন্যা আরাধ্য। দাম্পত্য জীবনের দীর্ঘ সময় নিয়ে ঐশ্বরিয়া একদা বলেছেন, ‘এই জার্নিটা যেন চোখের পলকের মতো। এটা অসধারণ একটা সময়, যেটা খুব দ্রুত বয়ে যাচ্ছে।’

তারকা জীবনের বাইরে ঐশ্বরিয়া একজন আদর্শ মা হিসেবেও পরিচিত। কন্যা আরাধ্যের জন্য তার ত্যাগ, ভালোবাসা কম-বেশি সবার জানা। জন্মের পর থেকে প্রায় সার্বক্ষণিক কন্যাকে নিজের সঙ্গে রাখেন অ্যাশ। মাতৃত্ব ও কন্যাকে নিয়ে একবার তিনি বলেছেন, ‘আমি তার শাসক হতে চাই না। আমি চাই একজন মা হতে, যেটা আমি প্রতি দিন একটু একটু করে আবিষ্কার করছি। আমি শুধু তাকে খুশি, সুস্থ আর নিরাপদ দেখতে চাই। সে এমন একজন মানুষ হয়ে উঠুক, যে নিজেকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।’

অভিনয়ের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ পুরস্কার পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মশ্রী, একই বছর ফিল্মফেয়ার থেকে ‘মোস্ট বিউটিফুল পিপল’ সম্মাননা। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ‘সর্বকালের সেরা সুন্দরী’র খেতাবও জিতেছেন। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৪ সালে তিনি ‘সবচেয়ে সফল মিস ওয়ার্ল্ড’ হিসেবেও সম্মানিত করা হয়। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে দুইবার ফিল্মফেয়ার, ছয়বার আইফা, ছয়বার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন বচ্চনবধূ।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *