সর্বশেষ

অবশেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে বইছে কালবৈশাখী ঝড়।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৪টার পর থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে মেঘের ঘনঘটা বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ কালো হয়ে আসে আকাশ। এর সঙ্গে শুরু হয় কালবৈশাখীর প্রথম ধাপ, ধূলিঝড়। এরপর নামে মুষলধারে বৃষ্টি। দিনভর দাবদাহের পর স্বস্তি নিয়ে আসে এই বৃষ্টি।

তবে বাতাসের গতি বেশি থাকায় রাজধানীর ফার্মগেট, উত্তরা ও মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়ক বিভাজক ও ফুটপাতের গাছ ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার পাশে নির্মাণকাজের টিনও বাতাসের ধাক্কায় সরে গেছে। ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে রাস্তায় থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা যায়।

আবহাওয়াবিদরা জানান, সাধারণত কালবৈশাখী ঝড় পাঁচ থেকে আট মিনিট স্থায়ী হয়। কিন্তু রাজধানীর এই ঝড় ১২ মিনিট ধরে চলে।  আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি, ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার। বছরের এই সময়ে কোনো এলাকায় ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বাতাস বয়ে গেলে সেখানে কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে বলে ধরা হয়। সাধারণত এপ্রিল মাসের শুরু থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী আঘাত হানা শুরু করে। কিন্তু এ বছর টানা দাবদাহ বয়ে গেলেও ঢাকায় কালবৈশাখীর আঘাত হানার ঘটনা এই প্রথম। এর আগে ঢাকাসহ দেশের আরও ৮-১০টি জেলায় ঝড় হলেও তার বাতাসের গতিবেগ এখনো নিশ্চিতভাবে জানতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, দিনে একটানা দীর্ঘ সময় বেশি তাপমাত্রা থাকলে এবং বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে বিকেলে কালবৈশাখীর জন্য অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়। আজ এ কারণেই কালবৈশাখী আঘাত হানল। আগামীকাল শুক্রবারও ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের দু-একটি জায়গায় কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে।

এদিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *