বিশ্ব বিদ্যালয় সর্বশেষ স্কলারশিপ

অনার্স-এমবিবিএসের শিক্ষার্থীরাও পাবেন সরকারি উপবৃত্তি

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) বা অনার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও উপবৃত্তির টাকা পাবেন। নির্ধারিত কিছু শর্তের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীন দেওয়া এ টাকা দেওয়া হবে। চার বছর মেয়াদি অনার্সের পাশাপাশি এমবিবিএসের মতো পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্সেও শিক্ষার্থীরাও উপবৃত্তি পাবেন।

বিবেচিত একেকজন শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত বছরে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পান। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে উপবৃত্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনও উপবৃত্তি দেওয়া হয় কিছু শিক্ষার্থীকে।

জানা গেছে, নতুন অর্থবছর থেকে অনার্স পর্যায়ে উপবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যে এ স্তরের শিক্ষার্থীদের কীভাবে উপবৃত্তি দেওয়া হবে, তার নির্দেশিকাও ঠিক করা হয়েছে। উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত শিক্ষার্থী হওয়া, শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি, পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর বা জিপিএ–৩.৭৫, অথবা ৪–এর স্কেলে ৩ পাওয়া।

বাবা–মা বা অভিভাবকের বছরে আয় ২ লাখ টাকার কম হতে হবে। সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তান উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, এতিম, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাদের সন্তানের সন্তান, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ পরিবারের সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন।

ট্রাস্টের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখন উপবৃত্তি দেওয়ার কাজটি অনলাইনে করা হয়। তাই ডেটাবেজের প্রয়োজন আছে। দু-একটি ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ডেটাবেজ নেই। এ স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করে উপবৃত্তি দেওয়া হবে। চলতি বছরই উপবৃত্তি দেওয়া শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

এ পর্যায়ে বিবাহিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত এসেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশে ৫৪টি সরকারি ও ১১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১৭ জন। কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবেন, সেটি নির্ভর করছে অনেক বিষয়ের ওপর। শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্থায়ী তহবিল হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকে রাখা টাকার এফডিআর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *