বিশ্বকাপের অন্যতম হট ফেবারিট হিসেবে কাতার বিশ্বকাপে আসে ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে ড্র করে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল ক্রোয়েটদের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই নিজেদের জাত চেনালো ক্রোয়েটরা। শুরুতে পিছিয়ে পরেও কানাডাকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারালো মদ্রিচের দল। ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ৪টি গোল করে দুটিই করেন ক্রামারিচ, একটি করে গোল করেন লিভায়া ও মায়ের। কানাডার হয়ে বিশ্বকাপে একমাত্র গোলটি করেন আলফোনসো ডেভিস।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলে কানাডা। ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে কানাডাকে এগিয়ে দেন আলফানসো ডেভিস। এরপর একের পর এক আক্রমণে কানাডার ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ক্রোয়েশিয়ানরা কিন্তু গোলের মুখ খুলছিল না কিছুতেই।
৩৬তম মিনিটে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচের চমৎকার রিভার্স পাসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ক্রামারিচ।
এরপর ক্রোয়েশিয়ার লাগাতার আক্রমণে বারবার কানাডার ডিপ ডিফেন্সে ফাঁক ফোকর দেখা দিচ্ছিল। যার সুযোগ নিতে দেরি করেনি ক্রোয়েশিয়া। ৪৪ মিনিটে দারুণ এক দৌড়ে কানাডার রক্ষণভাগ তছনছ করে ফেলেন জুরানোভিচ। এরপর পাস বাড়ান মার্কো লিভজার উদ্দেশে। প্লেসিং শটে চমৎকার গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
বিরতি থেকে ফিরে ক্রোয়েশিয়া নতুন উদ্যোম ফিরে পায়। প্রথমার্ধের থেকেও এবার তারা আরও বেশি আক্রমণাত্মক, গোলের ক্ষুধা যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল। মুহুর্মুহু আক্রমণে কানাডার রক্ষণের পরীক্ষা নেন তারা। তাতে কানাডা ভাগ্য পরীক্ষায় বেশ কায়েকবারই বেঁচে যায়। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া দুটি গোল ঠিকই আদায় করে নেয়।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ক্রামারিচ। আবারো সেই পেরেসিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট করে দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। খেলা শেষ হওয়ার ২ মিনিট আগে কানাডার ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকা মাঠে বল পেয়ে ডিবক্সের সামান্য ভেতরে মায়েরের কাছে বল পাঠালে তিনি সেটিকে গোলে পরিণত করেন। ৪-১ ব্যবধানের বিশাল জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসলো ক্রোয়েশিয়া। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম।