লক্ষ্য মাত্র ১৪৫ রানের। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে এমন লক্ষ্য দিয়ে জয়ের আশা করা তো বাড়াবাড়িই। তবে অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বোলাররা।
ম্যাচের চতুর্থ দিনেই বের হবে ফল, তা আগেই অনুমেয় ছিল। ১৪৫ রান তাড়ায় ভারতের প্রয়োজন ছিল ১০০ রান। বাংলাদেশ আগের দিন ৪ উইকেট তুলে কাজ এগিয়ে রেখেছিল। ইতিহাস গড়তে আজ দরকার ছিল ৬ উইকেট। শুরুর এক ঘণ্টায় মিরাজ, সাকিব যা করলেন তাতে রঙিন উৎসবের মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরের ৫৭ মিনিটে যা হলো তা স্রেফ বিষাদে পরিণত হয়।
আগের দিনের অপরাজিত অক্ষর-উনাদকাটের জুটি ভেঙে যায় দ্বিতীয় ওভারে। অধিনায়ক সাকিব উনাদকাটকে এলবিডব্লিউ করে ব্রেক থ্রু এনে দেন। বাংলাদেশের ভয়ের কারণ ছিল রিশাভ পান্ত ও অক্ষল জুটি। কিন্তু মিরাজ প্রথম ঘণ্টার আগেই তুলে নেন এই দুই উইকেট। পান্তকে ফাঁদ পেতে এলবিডব্লিউ করার পর অক্ষরকে বোল্ড করেন। ১৮ রানে ৩ উইকেট তুলে জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল বাংলাদেশের আকাশে।
তবে একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন মিরাজ। ১ রানে তার বলে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন অশ্বিন। মুমিনুলের হাতে রেগুলেশন ক্যাচই গিয়েছিল। ওই পজিশনে দাঁড়িয়ে এই টেস্টে পুজারা ও বিরাটের কঠিন ক্যাচ নিয়েছেন যিনি। কিন্তু অশ্বিনের ক্যাচটা তালুবন্দি করতে না পারায় বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা ফসকে যায়। ওই ক্যাচ ছাড়ার পর শারীরিক ভাষায় কিছুটা আলগা মনোভাবও চলে আসে। যা বোলিংয়েও স্পষ্ট বোঝা যায়।
সাকিব, তাইজুল, মিরাজরা পরবর্তীতে আক্রমণে এলেও আগের ধার থাকেনি। তাসকিন এদিন বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। খালেদ বল হাতে নিলেও ছিলেন বিবর্ণ। ৭১ রানের জুটির ৪২ রানই করেছেন অশ্বিন। ডানহাতি এ অলরাউন্ডারের টেস্ট সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি। রান করেছেন প্রায় তিন হাজার। আজ সেই অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন মিরপুরের ২২ গজে।
ভারত লক্ষ্যের পথে যতটা কাছে গিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং ততটাই ধারহীন হয়েছে। মিরাজ শেষ ওভারে এক ছক্কা, দুই চার ও এক ডাবলসে ১৬ রান দিয়ে ভারতকে সহজেই জয় এনে দেন। ৩ উইকেটের জয়ে ভারত শিবিরে ফিরেছে স্বস্তি। সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ১২ পয়েন্ট পাওয়ায় জয়ের হাসিটা আরও চওড়া হয়েছে। বিপরীত চিত্র বাংলাদেশ শিবিরে।