প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ জয়ের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে ইঙ্গিত দিয়েও রেখেছিল। এরপর বোলিংয়ে দারুণ করলেও শেষদিকে পেরে উঠলো না নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাতে ঘুরে দাঁড়ানো ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কার চতুর্থ উইকেট জুটি এরপর শুধু হতাশই করে গেছে স্বাগতিকদের। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৮৫ রান। নিশাঙ্কা পেয়েছেন সেঞ্চুরি, আসালাঙ্কা থেমেছেন ৯ রান দূরে। দুজন যখন আউট হয়েছেন, ততক্ষণে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাইরে। শেষদিকে ভেল্লালাগে ও হাসারাঙ্গা শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে যান জয়ের দুয়ারে।
তানজিমের আঘাত, শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ উইকেটের পতন
তানজিম হাসান সাকিবের বলটা আঘাত করলো জানিথ লিয়ানাগের প্যাডে, আবেদন উঠলো জোরালো। সায় দিয়ে আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিঊ নিলো শ্রীলঙ্কা। তবে রায় আসলো বাংলাদেশের পক্ষে। ব্যস, শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ উইকেটের পতন। আরেকটি ব্রেকথ্রু। শ্রীলঙ্কার দরকার ৩৬ রান। বাংলাদেশের ৪ উইকেট।
আসালাঙ্কাকে বিদায় করে তাসকিনের সেঞ্চুরি
মেহেদী হাসান মিরাজের পর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানলেন তাসকিন আহমেদ। চারিথ আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন তাসকিন। সাকিব, মাশরাফি, রাজ্জাক, মোস্তাফিজ, রুবেল, রফিক, মিরাজের পর অষ্টম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১০০ উইকেট নিলেন এই পেসার।
এর আগে পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। তার ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি স্লগ সুইপ করলেন নিশাঙ্কা। তবে ব্যাটের ওপরের দিকে গেলে বল উঠে গেল আকাশে। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ নিলেন লিটন কুমার দাস
১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ বলে ১১৪ রান করে ফিরলেন নিসাঙ্কা। তার বিদায়ে ভাঙল চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে গড়া ১৮৬ রানের জুটি। ৩৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩৮ রান।
নিশাঙ্কা-আসালাঙ্কা জুটিতে জয়ের পথে শ্রীলঙ্কা
তিন উইকেট যাওয়ার পর সেই যে জুটি বাঁধলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা, এখনো ব্যাটিং করে চলেছেন এই দুইজন। তাতে শুরুর ধাক্কা সামলে জয়ের পথে আছে শ্রীলঙ্কা।
শুরুর চাপ সামলে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কা। এরই মধ্যে দুজনের জুটিতে এসেছে একশ রান। দুজনই পেরিয়েছেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান।
৩০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান। আসালাঙ্কা ৬৯ বলে ৬৭ ও নিসাঙ্কা ৯৩ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত।
নিশাঙ্কা-আসালাঙ্কায় এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারানোর পর সতর্ক অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার নিশাঙ্কা ও আসালাঙ্কা। দুজনের জুটি এখন ৪৭ রানে অবিচ্ছিন্ন।
শ্রীলঙ্কার রান ১৬ ওভারে ৮৬/৩।
শরিফুল-তাসকিনের জোড়া আঘাতে টালমাটাল শ্রীলঙ্কা
ভালো ফিল্ডার হিসেবে মিরাজের বেশ সুনাম আছে। তবে আজ যে তানজিমের বলে একটি মিস করলেন। সেতা পুষিয়ে দিলেন শরিফুলের বলে। শরীফুলের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। দারুণ দক্ষতায় সেটি লুফে নেন মিরাজ। সর্বশেষ ৭ বলে ১ রান তুলতে ২ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা।
শরিফুলের পর তাসকিনের আঘাত, কুশলের বিদায়
বোলিংয়ে সেই আঘাত করলেন তাসকিন আহমেদ। লেংথের বলটা ব্যাট চুমো খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ডিফেন্ড করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মেন্ডিস। দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। তাসকিনের এটি ৯৯তম ওয়ানডে উইকেট।
শরিফুলের শুরুর আঘাতের পর মিরাজের ক্যাচ মিস
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের বাঁ দিকে ডাইভ দিয়েও বলটা হাতে রাখতে পারেননি মিরাজ। তাতে তানজিমের বলে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন কুশল মেন্ডিস। এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট তুলে নেন শরীফুল ইসলাম। তার করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আভিস্কা ফার্নান্দো।
তাওহীদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের চ্যালেঞ্জ ছুড়লো বাংলাদেশ
শেষ ওভারের আগের বলটাই স্কুপ করতে গিয়ে মিস করলেন, বিরক্তি ফুটে উঠলো চোখে-মুখে। পরক্ষণেই সবটা ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তাওহীদ হৃদয়। কুমারার ফুললেংথ থেকে এরপর তুলে লং অন দিয়ে ছক্কা মারলেন। শেষ বলে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারলেন আরেকটি। তাতে ১০২ বলে অপরাজিত থাকলেন ৯৬ রানে। বাংলাদেশ পেল ৭ উইকেটে ২৮৬ রানের লড়াকু পুঁজি।
এর আগে শুরুতে বাংলাদেশের ইনিংসকে টেনেছেন সৌম্যকে নিয়ে। লিটন ফেরার পর নাজমুলের সঙ্গে সৌম্যর ৭৫ রানের জুটি ভালো একটা ভিতই গড়ে দিয়েছিল। তবে নাজমুল থামেন ফিফটির আগেই। ফিফটির পর ফিরেন সৌম্যও। সৌম্য আউট হওয়ার ১ বল পর মাহমুদউল্লাহও স্টাম্পিং হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে মুশফিকের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটিতে সে চাপ একটু সামাল দেন তাওহীদ। বাকি পথে টেল-এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করেন। তানজিমের পর তাসকিন দিয়েছেন দারুণ সঙ্গ। তানজিম করেছেন ৩৩ বলে ১৮ রান। তাসকিন খেলেছেন ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিও।