বিশ্ব বিদ্যালয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সর্বশেষ স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়

১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মসী বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা

ফার্মাসি শিক্ষার মান না থাকায় দেশের ১৩টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিল। এরমধ্যে রয়েছে জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদালয়ও। দুই থেকে চারমাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করতে না পারলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে।

বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি দেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ফার্মাসি কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল। শিক্ষক সংকট, ল্যাবরেটরি স্থাপন না করা, পর্যাপ্ত কেমিক্যালের ব্যবস্থা না রাখা এবং সমৃদ্ধ পাঠাগার না থাকায় ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগে বি.ফার্ম কোর্সের অ্যাক্রেডিটেশন নবায়ন স্থগিত করা হয়। এ সিদ্ধান্ত স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়কে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যায়গুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, আশা ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি।

জানা গেছে, দেশের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিল। এরমধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব সংকট, ল্যাবের যন্ত্রপাতি অকেজো, শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকট পেয়েছে সংস্থাটি। তালিকায় থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শর্তপূরণে আগামী ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ আড়াই মাস এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ চারমাস সময় দেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিলের এ নির্দেশ অমান্য করে যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বি. ফার্ম কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তাহলে ওইসব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন দেবে না কাউন্সিল। এমনকি সেই শিক্ষার্থীরা পাস করার পর ‘পেশাগত সনদ দেওয়া হবে না’ উল্লেখ করে কঠোর ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *