খেলাধুলা সর্বশেষ

শেখ কামালের জন্মদিনে বিসিবিতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী আজ শনিবার (৫ আগস্ট)। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

শেখ কামালের জন্ম দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের সব দফতরে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিনটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। শনিবার বিসিবির বেশ কিছু কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শেখ কামালের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শেখ কামাল ক্রীড়া পদক অনুষ্ঠানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ছিলেন। এই কারণে তিনি মিলাদে অংশ নিতে পারেননি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক ও ফিনান্সিয়াল কমিটির চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মল্লিক বলেছেন, ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া সংগঠকই। স্বাধীনতার পরে তার হাত ধরে ক্রিকেটটা বিশেষ করে, ক্রিকেটতো তখন এতোটা জনপ্রিয় ছিল না। তার হাত ধরেই কিন্তু তখন আমাদের এটা শুরু হয়। তিনি একাধারে ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ফুটবল খেলতেন৷ কামাল ভাইয়ের হাত ধরেই আবাহনী ক্লাবের জন্ম।’

বিসিবির এই আয়োজন নিয়ে মল্লিক আরও বলেছেন, ‘তার জন্মদিনে আমরা প্রতিবারই এরকম আয়োজন রাখি৷ আজকেও আমরা ১০টা মাদ্রাসার প্রায় ১৫শ এতিম ও মাদ্রাসা ছাত্রের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। তিনটা জায়গায় আমরা মিলাদ মাহফিল করেছি। কক্সবাজারে যেহেতু উনার নামেই একটা স্টেডিয়াম আছে, ওখানে বড় করে মিলাদ আয়োজন করা হয়েছে। আজকে দিনব্যাপী উনার জন্য নানান অনুষ্ঠান রয়েছে। মাননীয় বোর্ড সভাপতিরও এখানে থাকার কথা ছিল। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলছে, তাই বোর্ড সভাপতি এখানে এখনও আসতে পারেননি। বিকালেও আবাহনী ক্লাবে একটা শোকসভা হবে। এসব কার্যক্রম আমরা করেছি। ’

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক বাসভবন আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে শেখ কামাল সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *