দিনাজপুর রেলস্টেশনে ‘একতা এক্সপ্রেস’ ট্রেন অবরোধ করেছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগে এ অবরোধ করা হয়। ৪৪ মিনিট অবরোধ শেষে ৯টা ১৪ মিনিটে দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস।
রোববার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা একপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশনে রাত ৮টা ৩০মিনিটে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ট্রেন থামিয়ে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে ট্রেন অবরোধ করেন।
মারধর ও লাঞ্ছিতের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম আব্দুর রাজ্জাক। দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে লেভেল-২, সেমিস্টার-১ এর শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মমিনুল করিম, কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন, দিনাজপুর রেলস্টেশনের সুপারিনন্টেন্টে এবিএম জিয়াউর রহমান অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মীমাংসায় বসেন। এমন আচরণে বিচারের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। ৪৪ মিনিট অবরোধ শেষে ৯টা ১৪ মিনিটে দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে যায় একতা এক্সপ্রেস।
অভিযোগকারী হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই অনুষদের ছাত্র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ঢাকা থেকে একতা এক্সপ্রেসে দিনাজপুর আসছিলেন। পথে টাঙ্গাইলে ‘ঞ’ বগির গেটে ট্রেনের পরিচালক বিশ্বজিত রায় টিকিট দেখতে চান। এসময় আব্দুর রাজ্জাক তার ‘চ’ বগির টিকিট দেখান। এক বগির টিকিট নিয়ে আরেক বগিতে কেন এসেছেন বলে টাকা দাবি করেন বিশ্বজিত রায়। টাকা না পেয়ে শিক্কার্থী আব্দুর রাজ্জাককে মারধর করেন। পরে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদের সহযোগিতায় রক্ষা পান আব্দুর রাজ্জাক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক পেজে লাইভে গিয়ে হাবিপ্রবির ওই শিক্ষার্থী প্রশাসন, ট্রেনের যাত্রী ও রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান।