আন্তর্জাতিক সর্বশেষ

যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে না ইসরায়েলের, রাফাহ অভিযানের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

হামাসের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (১৫ মিার্চ) যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের নতুন প্রস্তাব এখনো অনেক অযৌক্তিক দাবি রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের কাতারে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, নেতানিয়াহু তার সেনাদের ফিলিস্তিনের রাফাহ শহরে হামলা চালানোর পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছেন। তাছাড়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ শহরে হামলা চালাতে ও সেখানকার বেসামরিক বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে প্রস্তুত।

এর আগে শুক্রবার এক প্রতিবেদন বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রমজানে গাজায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দফায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ জিম্মিদের ছাড়ার বিনিময়ে ৭০০ থেকে ১০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি চেয়েছে হামাস। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্য থেকে নারী, শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় হামাস।

হামাসের ওই প্রস্তাব উল্লেখ করা দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, দক্ষিণ গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা ও গাজার কেন্দ্রে ফিরতে দেওয়া ও ত্রাণ ঢুকতে কোনো বাধা না দেওয়া।

হামাসের এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, হামাসের যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবটি সম্পূর্ণ অবাস্তব দাবির ওপর ভিত্তি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে বলে জানায় নেতানিয়াহুর কার্যালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *